বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্রিজের অভাবে শহর থেকে বিচ্ছিন্ন নাউভাঙ্গাচর

শুভ্র মেহেদী, জামালপুর

ব্রিজের অভাবে শহর থেকে বিচ্ছিন্ন নাউভাঙ্গাচর

কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জামালপুর জেলা শহর ঘেঁষা গ্রাম নাউভাঙ্গাচর। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার আওতাভুক্ত গ্রামটি শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা। শুধু একটি সেতুর অভাবে নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত গ্রামের বাসিন্দারা। নাউভাঙ্গাচর থেকে শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়ে যান চলাচলের সুযোগ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রামবাসী। শুধু তাই নয়, এখানে উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও অন্য মালামাল পরিবহনে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ। একেবারে জামালপুর শহরের কাছে হলেও নাউভাঙ্গাচর গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াতে নেই বিকল্প পথ। অথচ গ্রামটির ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল, জজ কোর্ট, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, জেলা পরিষদ, সদর থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি- বেসরকারি স্থাপনা। জানা যায়, শহরের মূল ভূখ-ের সঙ্গে গ্রামটি সংযুক্ত করতে ২০০৮ সালে একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। ৮০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজটি নির্মাণের পর যাতায়াতে ভোগান্তি লাঘব হয় গ্রামবাসীর। ২০১২ সালেই নদী ভাঙনে ব্রিজের এপ্রোচ সড়কসহ গ্রামের বেশকিছু এলাকা ব্রহ্মপুত্রের বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে ব্রিজটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। আবারও দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। শহরে যাতায়াতের জন্য জেলা পরিষদ থেকে একটি সাঁকো নির্মাণ করে দিলেও তা দিয়ে যান চলাচলের সুযোগ নেই। শুধু নাউভাঙ্গাচর নয়, এ কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জামালপুর শহরে যাতায়াত করেন পার্শবর্তী শেরপুর জেলার জঙ্গলদি, বাঘলদি, চিনারচর গ্রামের অসংখ্য লোক। সাঁকো পারাপারে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

সর্বশেষ খবর