শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় জমজমাট মাগুরা পৌরসভার নির্বাচন। আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট আদায়ের নানা কৌশলে মুখর হয়ে ওঠেছে। এ নির্বাচনে তিন মেয়র প্রার্থী ও সাধারণ ৪৭ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রত্যেক প্রার্থী নিজের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। ইতিমধ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। হাট-বাজার-চায়ের দোকান অফিস আদালত, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানে এখন শুধু নির্বাচনী আলোচনা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খুরশিদ হায়দার টুটুল তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে শো-ডাউন, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রখেছেন। প্রতিদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের সমর্থন নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে, বিএনপির প্রচার-প্রচারণায় চলছে নিজস্ব গতিতে। এছাড়া নির্বাচনের মাঠে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মাওলানা মসিউর রহমানকেও বেশি দেখা যায়নি। শহরে কিছু স্থানে পোস্টার ছাড়া মাঝেমধ্যে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা চলছে তার। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী খুরশিদ হায়দার টুটুল বলেন, গত পাঁচ বছরে আমি মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালীন মাগুরা পৌরসভাকে আধুনিক মানে উন্নয়ন করার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। বিএনপির ইকবাল আতকার খান বলেন, ক্ষমতাসীন দলের দুকর্মীর করা দুটি মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আসামি হয়েছেন। এসব মামলায় দলটির এক ডজনের বেশি নেতা ইতিমধ্যে কারাগারে আছেন। অনেকে গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন। নির্বাচনে মাগুরা জেলা বিএনপির সব ইউনিটের নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। যদি নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়, তবে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার অলিউল ইসলাম জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে মাগুরা ভোট হবে। এ নির্বাচনে মোট ৭৬ হাজার ৮৭৬ জন ভোটার ৩৫টি কেন্দ্রে ২০৮টি কক্ষে ভোট প্রদান করবেন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।