শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পুকুরে মাছ, পাড়ের জমিতে ফল ও সবজির চাষ

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

একটার পর একটা পুকুর। পুকুরগুলোর পাড় ঘিরে সবুজের সমারোহ। চারপাশে নানা গাছপালা। পাখিদের আনাগোনা। বিশাল সুপারি বাগানের নিচে আদা, পেপে, আমড়া, কলাসহ নানা ফলের গাছ। চোখ ধাঁধানো দৃষ্টিনন্দন এই কৃষি খামারটি গড়ে উঠেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার এলাকার চেপটি গ্রামে। পুকুর পাড়ে চাষাবাদ করে বছরে কোটি টাকা আয়ের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন আশপাশের গ্রামের মানুষ। পুকুর পাড়ে চাষাবাদ দেখতে বেড়াতে আসছেন পর্যটকরাও।

জানা যায়, শুরুতে একটি পুকুরে মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল হোসেন। তারপর কয়েক বছরে তিনি ১২টি পুকুর খনন করে মাছ চাষের পরিধি বাড়ান। চাষাবাদ দেখা শোনার দায়িত্ব নেয় একমাত্র ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব। এরপর বাবা ছেলে মিলে ১২টি পুকুরের চারপাশে শুরু করেন নানা ফল ফসলের চাষাবাদ। বর্তমানে প্রায় ৩৫ একর জমিতে পুকুরের মাছ আর কৃষি একাকার হয়ে উঠেছে। পুকুর পাড়ে লাভজনক চাষাবাদ করে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তারা। পুকুরগুলোর পাড় আধুনিকভাবে চাষ উপযোগী করে প্রায় ২০ প্রজাতির গাছ রোপণ করছেন তারা।

এতে রয়েছে সুপারি, কলা, আদা, আমড়া, লটকন, রসুন, মাল্টা, লেবু, সজনেসহ নানা ধরনের শাকসবজি। একদিকে মাছ অন্যদিকে কৃষি থেকে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন তারা। পুকুর পাড়েই তারা গড়ে তুলেছেন গরু ও মুরগির খামার। সেই খামার থেকেই উৎপাদিত সার ব্যবহার করছেন চাষাবাদে। আবুল হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি তার এক ধরনের মায়া ছিল।

গাছের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি এসব করেছেন।

পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান জানান, পুকুর পাড়ে চাষাবাদ করে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এই দুই কৃষক। তাদের জেলা কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর