শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অবৈধ ইটভাটায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, বিপন্ন পরিবেশ

নাজমুল হুদা, সাভার

অবৈধ ইটভাটায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, বিপন্ন পরিবেশ

ঢাকার উপকণ্ঠে সাভারের আশুলিয়াজুড়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। এসব ইটভাটার কারণে আশপাশের পরিবেশ, জনবসতি, কৃষিজমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ জনবহুল এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। সরকারি হিসাবে ঢাকা জেলায় ৫৩৭টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২৭১টি, লাইসেন্স বিহীন ২৬৬টি। জানা যায়, সাভারে ২০১৪ বৈধ ইটভাটা ছিল ২৭টি,  লাইসেন্সবিহীন ৯৩টি। ২০১৫ সালে বৈধ ছিল ৪৩টি, অবৈধ ১০৫টি। ২০১৮ সালে লাইসেন্স ছিল ৩৯টি ইটভাটার। ওই সময় অবৈধ ছিল ১১৫টি। গত বছর আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলে ইটভাটা ছিল ৭০টি, যার মধ্যে ৬৯টির লাইসেন্স ছিল না। নিয়মানুযায়ী ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া এবং আবাসিক এলাকা ও তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। অভিযোগ আছে, স্থানীয় ইটভাটা মালিকরা কৃষকদের ম্যানেজ করে জমি লিজ নিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করছেন। এসব ভাটায় চিমনির উচ্চতা বাড়ানো হলেও তা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। চিমনিবাহিত ধোঁয়ায় চারপাশের জনস্বাস্থ্য পড়েছে ঝুঁকির মুখে। এ ছাড়া আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ফলগাছের ফলন কমে যাওয়া, উৎপাদিত সবজি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। সাদা ও কালো ধোঁয়ায় এলাকাবাসী আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগব্যাধিতে। সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভাটাগুলোতে কয়লার পাশাপাশি পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, প্লাস্টিক, টায়ার। শ্রমিকরা জানান, এসব ভাটায় কাঠ ব্যবহার হয় না। সারা বছর কয়লা পোড়ানো হয়। তবে আগুন ধরানোর সময় কাঠের প্রয়োজন হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। স্থানীয় বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, একসময় এসব এলাকায় সারা বছর চাষাবাদ হতো। কিন্তু প্রভাবশালীরা কাউকে অর্থের বিনিময়ে আবার কাউকে ভয় দেখিয়ে ওইসব জমি ইজারা নিয়ে বা কিনে ইটভাটা স্থাপন করেছেন। এ কারণে বেকার হয়ে গেছেন এলাকার অনেক কৃষক। এ ছাড়া জীবিকার প্রয়োজনে পেশা বদল করেছেন অনেকেই। আশুলিয়ার কৃষক ফরিদ দেওয়ান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে আমি কৃষিকাজ করি।

সর্বশেষ খবর