ঝালকাঠিতে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে ভিকটিম তরুণীর বিয়ের শর্তে ধর্ষকের জামিন মঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল্লাহ। গতকাল জামিন শুনানির নির্ধারিত দিনে আদালতে বাদী এবং আসামি উপস্থিত হলে আদালত বরপক্ষের অনুরোধে বিয়ের শর্তে আসামির স্থায়ী জামিনের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে উভয় পক্ষ রাজি হলে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে গতকাল দুপুরে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. সৈয়দ বশির।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান রসুল ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিয়ের পর আসামি বর মহিদুলের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।পিপি আবদুল মান্নান রসুল জানান, তিন বছর আগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার চরভাটারাকান্দা গ্রামের ওই তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তার মা লাকি বেগম বাদী হয়ে নালিশি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন শুনানির সময় আসামিপক্ষ ভিকটিমকে বিবাহের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং নির্যাতিত পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক আদালতের মধ্যেই ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন।
আদালত চত্বরে আসামি, ভিকটিম ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে আসামির জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
