বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নাটোরে গাছে গাছে আমের মুকুল

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে গাছে গাছে আমের মুকুল

নাটোরের জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সুবাস ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। জেলা সদর ও লালপুরে পৌষের মাঝেই আম গাছে আগাম মুকুলের দেখা দিয়েছে। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে মধুমাস সমাগত। এবার শীতের তীব্রতা থাকায় ও আবহাওয়াগত কারণে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই জেলা ও উপজেলার গাছগুলোতে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। আগাম মুকুল আশায় আমচাষিদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে ঘন কুয়াশা হলে এ সব আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান কৃষি বিভাগ। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও নাটোর জেলাও এখন কোনো অংশে কম নয়। লালপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় ১ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান আছে। এখানকার চাষকৃত উল্লেখযোগ্য জাতের আম হলো, ফজলি, নেংড়া, খেরসাপতি, গোপালভোগ, আম্রপালি, লকনা অন্যতম। লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে বেশ কিছু বাড়ির আঙ্গিনা ও বাগানের গাছে আগাম মুকুল এসেছে। গাছে আগাম মুকুল আসায় বাগান মালিকরা ব্যস্ত হয়েছেন পরিচর্যার কাজ নিয়ে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষি ও বাগান মালিকরা। তবে আরও কিছু দিন পরে সব বাগানে মুকুল আসবে বলে জানান তারা। আমচাষি নাজুল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর শীতের তীব্রতা কম থাকায় এবং অন্য মৌসুমের চেয়ে এবার তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকায় সময় না হলেও কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরও বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে। উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ের প্রায় একমাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ বেশি হলে আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে। বর্তমানে তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে।

আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে চলতি মাসের শেষ সময় পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে।

সর্বশেষ খবর