শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ধর্ষণ মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড দুজনের যাবজ্জীবন

নীলফামারী প্রতিনিধি

ধর্ষণ মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড দুজনের যাবজ্জীবন

নীলফামারীতে কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড ও অপর একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অপর দিকে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল নীলফামারী নারী ও শিশু দমন নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এর বিচারকরা এ রায় দেন। মামলায় জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সাতজান সাইফুন এলাকার আবদুল গনির মেয়ে মৌসুমী (১৪)। পরের দিন বাড়ির পাশে বুড়িতিস্তা নদীর পাড়ের কাশবনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওইদিনই অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন মৌসুমীর বাবা আবদুল গনি। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী মকবুল হোসেন (৪০)-সহ ছয় নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমান মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদন্ড ও অপর অভিযুক্ত হালিমুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ১ লাখ টাকা অর্থদন্ডাদেশ প্রদান করেন।

একই সঙ্গে মামলার বাকি চার আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। অপর মামলায় জানা যায়, ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাড়িতে একা পেয়ে পুত্রবধূ রাজিয়া সুলতানাকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর আজগার আলী। এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর শ্বশুর আজগর আলীকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন পুত্রবধূ রাজিয়া। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক অভিযুক্ত শ্বশুর আজগার আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ অনাদেয় আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেন। এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট রামেন্দ্র বর্ধন বাপ্পী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর শ্বশুর আজগর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলে মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আহসান তারেক। দন্ডিত ব্যক্তি জামিনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর