জনবল স্বল্পতাসহ নানা সমস্যা নিয়ে নয় বছর ধরে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে ১৬ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত আছেন আটজন। রয়েছে অন্যান্য জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকট। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই খসে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তারা। বর্ষার সময়ে পানি চুয়ে পড়ে নষ্ট হয়েছে দেয়ালের রং। রোগীর স্বজনরা জানান, এ হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন না থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে এ পরীক্ষা করাতে হয়। হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও ব্যক্তিগত অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার জন্য গেটের সামনে রাখা হয়। এ সুযোগ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই দালালদের খপ্পরে পড়ছে রোগীর লোকজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৩১ শয্যার জনবলেও শূন্য রয়েছে অর্ধেক চিকিৎসকের পদ। এ ছাড়া পরীক্ষাগারে দুজনের স্থলে আছেন একজন টেকনিশিয়ান। দুটি এক্স-রে মেশিনের মধ্যে একটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। ফার্মাসিস্ট দুটি পদই শূন্য। চতুর্থ শ্রেণির এবং স্বাস্থ্যসহকারীর পদেও পর্যাপ্ত জনবল নেই। ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, কনসালটেন্টের অভাবে এখানে অপারেশন হয় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সমস্যাসহ জনবল সংকট সমাধানে চাহিদা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।