মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বিধি মানছেন না প্রার্থীরা

এস এম রেজাঊল করিম, ঝালকাঠি

বিধি মানছেন না প্রার্থীরা

ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার নির্বাচন সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে। ততই উৎসাহ ও উৎকন্ঠা বাড়ছে। মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি কাউন্সিল ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিনরাত যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন ভোট, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবাইল  ফোন প্রতীক পাওয়া সাবেক মেয়র মো. মাসুদ খান ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখার প্রতীকের মো. শাহজালাল নামে দুই মেয়র প্রার্থী, ১৭  সাধারণ কাউন্সিলর ও ৭ নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভা নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও মুদ্রণের তারিখবিহীন কোনো পোস্টার লাগাতে পারবে না।’ ওই প্রার্থীদের পোস্টারে মুদ্রণের কোনো তারিখ না থাকলেও তা লাগানো হয়েছে। এভাবে ত্রুটিপূর্ণ হাজার হাজার পোস্টার লাগানোর ঘটনায় এখনো নীরব প্রশাসন। তাদের এমন ভূমিকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের নির্বাচনী এলাকায়  বৈদ্যুতিক খুঁটি, যানবাহন, বসতঘর ও দোকানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। ইতিমধ্যে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা-পাল্টা হামলা, প্রচার মাইক ভাঙচুরের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, আচরণবিধি না মানলে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ  বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দে র বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বিধান রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের আগেই অনেক প্রার্থী আগাম পোস্টার ছাপিয়ে রেখেছিলেন। এ কারণে মুদ্রণের তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।  এদিকে প্রচার মাইক ভাঙচুর ও প্রচার কর্মীদের মারধরের অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন (লাভলু) তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী মো. ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আরিফুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের গুরুতর আহত হয়েছেন ১-২-৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মোসা. খাদিজা পারভীন (৪৮)। গত শুক্রবার বিকালের ওই ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি নলছিটি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সী বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

সর্বশেষ খবর