বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কটিয়াদীতে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে চলছে প্রচারণা

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

কটিয়াদীতে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে চলছে প্রচারণা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণা এখন তুঙ্গে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিরামহীন প্রচারণা। পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বাজার, অলি-গলিসহ সর্বত্র। এ পৌরসভায় মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে শওকত উসমান, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকে তোফাজ্জল হোসেন খান, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকে আলাউদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত আম প্রতীকে আবদুল বাতেন ও মোবাইল ফোন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা আনিকা। প্রচারণায় হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করছেন একাধিক মেয়র প্রার্থী। মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সালমা আনিকা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন রাতের বেলায় তার কয়েকজন কর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করছেন। প্রচারণা থেকে দূরে থাকতে অনেককেই ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। তার সাঁটানো পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান একই অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, তার কর্মী-সমর্থকদের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন শুধু ভয়ভীতিই দেখাচ্ছেন না। মারপিটও করছেন। ফলে পুরো নির্বাচনী এলাকায় ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শওকত উসমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তারাই আওয়ামী লীগ কর্মীদের হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, বিএনপি প্রার্থীর কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। তবে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর কিছু অভিযোগ পেয়ে তিনি কটিয়াদী থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম. এ জলিল অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। নির্বাচনের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্ত বলে তিনি দাবি করেন। এ পৌরসভায় সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে মোট কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ৪৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৭৩৬ জন ও নারী ভোটার ১৫ হাজার ৭৩০ জন। আগামী ৩০ জানুয়ারি পৌরসভার মোট ১৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভিক্ষুক কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর প্রার্থী : শেরপুর প্রতিনিধি জানান, নকলা পৌরসভা নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল হালিম নামে এক ব্যক্তি কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে নিজেই মাইকিংসহ প্রচারণা চালাচ্ছেন। বক্তব্য দিচ্ছেন পথে পথে। হালিম নকলা উপজেলা ভিক্ষুক সমিতির সভাপতি ছিলেন। আবদুল হালিমের নিজের কোনো জমি নেই। শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে নকলা শহরের প্রবেশ মুখে একটি ব্রিজের নিচে ঝুপড়ি ঘরে বউ-বাচ্চা নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি উপজেলা ভিক্ষুক সমিতির সভাপতিও ছিলেন। এবার জনসেবা করতে চান। হয়েছেন প্রার্থীও। এর আগের বারও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভুলের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এবার প্রার্থিতা টিকে গেছে। টাকা-পয়সা না থাকায় তার নেই কোনো কর্মী। ফলে নিজের মাইকিং নিজেই করছেন। প্রচারণা, লিফলেট বিলি ও পথে পথে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়াসহ দিন-রাত চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। এ নিয়ে নকলা পৌর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।

সর্বশেষ খবর