শিরোনাম
বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ফরিদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১০

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের প্রতিপক্ষের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছে। হামলায় আটঘর বাজারের ৫টি দোকানসহ ১৫ বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। লুট করা হয় দোকান ও বাড়ির মালামাল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার রাতে ও গতকাল সকালে। পুলিশ জানায়, আটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সোহাগের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আটঘর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মলয় বোস হত্যাকান্ডের সাক্ষী হওয়া নিয়ে হয়রানি করে আসছিল।

 উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা।

এরই জের ধরে বিভিন্ন সময় হামলা, মামলার ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যানের এক সমর্থককে মারপিট করে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে রাতে ওয়াদুদ মাতুব্বরের কয়েকশ সমর্থক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের বাড়ি ও দোকানে। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর করে ও লুটপাট চালায়। গতকাল সকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন ফের হামলা চালায় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ও তার কয়েক সমর্থকের দোকান ও বাড়িতে। দু দফা হামলায় আটঘর বাজারের ৫টি দোকানসহ ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। হামলার সময় আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। হামলার বিষয়ে আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের শ্বশুর ইমামুল হোসেন তারা রাজাকারের বিরুদ্ধে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মলয় বোস হত্যা মামলার সাক্ষী আমি। এ কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান আমার ওপর ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন সময় আমাকে এবং আমার লোকজনদের ওপর হামলা চালায়। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে পরিকল্পিতভাবে আমার বাড়ি ও আমার কয়েক সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। সোহাগ আরও বলেন, প্রতিপক্ষের প্রাণনাশের হুমকির কারণে আমি এলাকা ছেড়ে ফরিদপুরে থাকছি। এ বিষয়ে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মিথ্যেই আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। সহকারী পুলিশ সুপার মো, মহিউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ খবর