রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চাঁদপুরে বেহাল সড়ক

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

চাঁদপুরে বেহাল সড়ক

চাঁদপুরে সড়কের সংস্কার না হওয়ায় বেহাল পরিবেশ বিরাজ করছে। সড়কের সংস্কার না হওয়ায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার আট গ্রামের প্রায় ১ লাখ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা দিন দিন বাড়ছে। ফরিদগঞ্জের সবচেয়ে বড় চান্দ্রাবাজারটি ওই ইউনিয়নে অবস্থিত। অথচ আমতলী থেকে চান্দ্রাবাজার সড়কটি পরিকল্পিতভাবে সংস্কার না হওয়ায় প্রতি মাসে ব্যবসায়ীরা কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এই বাজারটিকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়। অনেক আগে থেকেই চান্দ্রাবাজারে বড় বড় নৌকা আর জাহাজে করে ব্যবসা বাণিজ্য চলমান ছিল। কিন্তু এই সড়কটির বেহাল দশায় এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা ছুটে চলছেন পাশের ধানুয়া, বাঘড়া, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন বাজারে। এতে চান্দ্রাবাজারের ব্যবসায়ীরা মূলত বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। জানা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুর ইরিগ্রেশন প্রজেক্টের (সিআইপি) বেড়িবাঁধ নির্মাণ হওয়ায় ডাকাতিয়া নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই যুগ আগে ইউনিয়নটিকে একত্রিত করতে সেকদী-লোহাগড় ও  সেকদী-আমতলী ব্রিজ দুটি নির্মাণ করা হয়। সেকদী-আমতলী ব্রিজটি হয়ে ডাকাতিয়া নদী আর চরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে বাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই রাস্তাটি তৈরি হওয়ায়  সেকদী, পালতালুক, তরজিরান্তি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দৈনন্দিন চলাচলের পাশাপাশি বাজারটির সঙ্গে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়িক যোগাযোগ সুদৃঢ় হয়। রাস্তাটির দুই পাশেই বছরজুড়ে পানি থাকে। আর এই পানিতেই চলে মাছ চাষ। রাস্তাটি নির্মাণ করার পর রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পণ্য ও যানবাহন চালিত গাড়ি নিয়মিত চলাচল করত। চরটিতে থৈ থৈ পানি আর মাছ চাষের কারণে রাস্তাটি মেরামত করে ঠিক রাখা যাচ্ছে না। কয়েক বছর আগে জাইকার অর্থায়নে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি সংস্কার কাজ করেছিল। বছরখানেক আগেও এলজিএসপির অর্থায়নে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটিতে ইটের সলিং করে দেওয়া হলেও এখনো পায়ে হেঁটে চলার উপযোগী করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে  জেলার ঐতিহ্যবাহী চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কিন্ডারগার্টেন, ১ নম্বর বালিথুবা ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, কয়েকটি ব্যাংক-বীমাসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিস চান্দ্রাবাজারকে ঘিরেই অবস্থিত। এতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন দফতরে কাজ করতে আসা জনগণকেই এ সড়ক দিয়ে চলাচলে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে। একমাত্র ভাঙাচোরা সড়কের কারণে মহিলারা পরিবার-পরিকল্পনা সেবা, গর্ভবতী মাদের প্রসবপূর্ব  চেকআপ সেবাসহ অন্যান্য সেবা নিতে যাচ্ছে না।

চান্দ্রাবাজারের ব্যবসায়ী বারাকাত উল্লাহ ও মেম্বার মো. আলী বলেন, সড়কটির কারণে চান্দ্রাবাজার ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ১ নম্বর বালিথুবা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, রাস্তাটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার পর ২০১৫ সালে জলবায়ুর অর্থায়নে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ করা হয়। পরে অনিয়মের কারণে সংশ্লিষ্ট দফতর কাজটি বন্ধ করে দেয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর