রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দাউদকান্দির গ্রামে বিষমুক্ত সবজি চাষ

দাউদকান্দি প্রতিনিধি

দাউদকান্দির গ্রামে বিষমুক্ত সবজি চাষ

দাউদকান্দির গ্রামে গ্রামে বিষমুক্ত সবজির আবাদ করে সাফল্য এনেছেন কৃষক। তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত হচ্ছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মাঠে প্রায় ১২০০ মেট্রিক টন বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন হবে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের একমাত্র ইউনিয়ন হিসেবে এখানে বিষমুক্ত সবজি চাষ করা হয়েছে। দেশে এরকম ১০টি ইউনিয়নে বিষমুক্ত সবজির চাষ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা, বিটমান, বাশরা, ভিকতলা, নয়াকান্দি গ্রামের মাঠে সবজি চাষিরা পোকা-মাকড় দমনের নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষি অফিসের সূত্রমতে, অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে মাটি, পানি ও বাতাস এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব সমস্যা থেকে কৃষক ও পরিবেবশকে বাঁচাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আইপিএম (সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা) প্রকল্পের আওতায় মডেল প্রকল্প হিসেবে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ করছে। প্রকল্পের অধীনে দেশে ১০টি উপজেলায় আইপিএম মডেল ইউনিয়নের ২৫টি দল রয়েছে। এতে আটজন নারীসহ ২০ জন সদস্য কিষাণ-কিষাণীর সমন্বয়ে মোট ৫০০ জনের দল গঠন করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে তারা জৈব কৃষি ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে সবজি উৎপাদন করছে। সবজির মধ্যে রয়েছে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, ক্ষিরা, লাউ ও স্কোয়াস ইত্যাদি। মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে, দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন। মাঠ জুড়ে নানা ফসলের হাসি। কৃষি কর্মকর্তারা জমিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। জমিতে সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ, হলু, আঠালো ফাঁদ ও নেট হাউস লাগানো হয়েছে। এসব সবজি খেয়ে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমনের জন্য রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে।

সবজির ভাইরাসবাহিত রোগ দমনে এখানে ১০টি নেট হাউস স্থাপন করা হয়েছে। টামটা গ্রামের কৃষকরা জানান, ছয় বিঘা জমিতে বিষমুক্ত টমেটো চাষ করেছি। সরকার এ জন্য সব ধরনের কৃষি উপকরণ সরবরাহ করেছে। নিরাপদ সবজি বিক্রির পৃথক বাজার স্থাপন করলে কৃষক উপকৃত হবে।

উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ জামান বলেন, কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ, জৈব বালাইনাশক ও নগদ অর্থ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এসব ব্যবহার পদ্ধতির ওপর কিষাণ-কিষাণিদের সাতবার হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর