রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে অবহেলা-অযত্নে ১০২ একরের টিকরির মাঠ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরে অবহেলা-অযত্নে ১০২ একরের টিকরির মাঠ

অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে দিনাজপুর শহরের টিকরির মাঠ। এ মাঠের অবস্থান সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামে পুনর্ভবা নদীর তীরে। আয়তনে এ মাঠটি ১০২ একরের। দীর্ঘদিন থেকে গো-চারণ ভূমি হিসেবে পড়ে থাকলেও সদরের দক্ষিণ কোতোয়ালির কিশোর-যুবকদের খেলাধুলার অন্যতম স্থান এ টিকরির মাঠ। এখন ৫০ হাজার মানুষ অধ্যুষিত এলাকার খেলাধুলা আর গো-চারণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এ মাঠটি। তবে মাঠটির কিছু অংশ অবৈধভাবে দখলে। কেউ ঘর-বাড়ি তৈরি করেছেন। আবার কেউ চাষাবাদ করছেন। শতাধিক একরের এ মাঠটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না থাকলেও পরিকল্পিতভাবে এ মাঠটি গড়ে তোলা হলে এ অঞ্চলের খেলাধুলা ছাড়াও বিভিন্ন বিনোদনের স্থানও হতে পারে। আবার শহরের বাইরে এখানে ইকোনমিক জোন কিংবা শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলাও যেতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দাবি বিশালাকার টিকরির এ মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডিসহ গ্রামবাংলার বিভিন্ন খেলাধুলা নিয়ে প্রতিদিনই মেতে থাকেন কিশোর-যুবক। তাদের জন্য স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়ার। একসময় দিনাজপুরের মহারাজার গো-চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হতো এ মাঠটি। তখন থেকেই এভাবে মাঠ হিসেবে যুগ যুগ ধরে কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে মাঠ। স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান লিটন, শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেনসহ অনেকে জানায়, প্রতি বছর এই মাঠে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী চেরাডাঙ্গি মেলার ঘোড়দৌড়ের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে অনেকে ঘোড়দৌড়ের জন্য এখানে আসেন। এছাড়াও পাশের গ্রামগুলোর শত শত গবাদিপশু পালনে একমাত্র ভরসা এই মাঠ। তবে এ মাঠটি পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হলে এ অঞ্চলের খেলাধুলা ছাড়াও বিনোদানের স্থানও হতে পারে। এ ব্যাপারে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, মাঠটি স্বাধীনতার আগ থেকেই এ অবস্থায় দেখে আসছি। গো-চারণ ভূমি হিসেবে সবাই জানে।

সর্বশেষ খবর