সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ধামরাইয়ে বেপরোয়া ফসলি জমির মাটি ব্যবসায়ীরা

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

ধামরাইয়ে বেপরোয়া ফসলি জমির মাটি ব্যবসায়ীরা

ঢাকার ধামরাইয়ে মাটি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অতি লাভের কারণে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধ করছেন না। আর প্রশাসনও তা বন্ধের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। এভাবে ফসলি জমির মাটি কাটতে থাকলে আগামী ৫-৭ বছরে ধামরাইয়ে ফসল রোপণ করার মতো আর জমি থাকবে না এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা কৃষিবিদ। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধামরাই উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। গত নভেম্বর মাস থেকে এসব ভাটায় ইট তৈরি ও  পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিটি ভাটায় প্রয়োজন মাটি। আর এ সুযোগেই ধামরাইয়ের সূত্রাপুর, রোয়াইল, ভালুম, পথহারা, দেপাশাই, গাড়াইল, জালসা, সুতিপাড়া, কাওয়াখোলা, কুল্লা, বড় নারায়নপুর, ধাইরা, ভাড়ারিয়া, বাইশাকান্দা, জালসা, জলসীন, নান্নার, সুয়াপুরসহ শতাধিক স্থানে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে ট্রাক দিয়ে ফসলি জমির মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। আর জমির মালিকরা না বুঝেই তা ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে জমির উর্বরা শক্তি কমতে শুরু করলেও এ কথাগুলো স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের জানানো হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধামরাইয়ের এক ইটভাটা মালিক জানান, কৃষক তার ফসলি জমির টপসয়েল ইটভাটায় বিক্রি করা মানে ওই কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি করা। ধামরাইয়ে এখন চলমান ভাটার ইট তৈরি করার জন্য ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমির মাটিই সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় প্রশাসনকে তারা ম্যানেজ করেই ফসলি জমির টপসয়েল কেটে নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

স্থানীয়রা জানান, ফসলি জমির মাটি লুট হচ্ছে বিভিন্ন ট্রাকের মাধ্যমে। আর এসব ট্রাক যে সব রাস্তায় চলাচল করে সেসব রাস্তা অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। আর গ্রামের বাড়ির পাশ দিয়ে ট্রাক চলাচল করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে রাস্তার পাশের বাড়ির মালিকদের। তারা দ্রুত মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবি জানান। ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হাসান জানান, সরকারি নিয়ম মেনে কেউ ইটভাটা তৈরি করতে পারবে না। তাই অনিয়মের মধ্যেই ধামরাইয়ে অনেক ইটভাটা তৈরি হয়েছে। আর এসব ভাটার জন্য মাটির প্রয়োজন। তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের জমির টপসয়েল তারা কেটে নিচ্ছে। আর এ টপ সয়েল বিক্রি বন্ধ করার জন্য কৃষকদের বললেও তারা শুনছেন না।

সর্বশেষ খবর