সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সেন্টমার্টিনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

কক্সবাজার প্রতিনিধি

পরিবেশ অধিদফতরের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির আদেশে কোস্টগার্ড ছেঁড়াদ্বীপে যেতে না দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। দ্বীপে যান চলাচল, দোকান, হোটেল রেস্তোরাঁসহ সব কিছু বন্ধ রয়েছে। ফলে দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। দুপুরে দ্বীপে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ধর্মঘটের একাত্মতা ঘোষণা করেছেন সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতি, স্পিডবোট, ইজিবাইক, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, দোকানপাট, বাজার কমিটি, হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় জনসাধারণ।

কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনে কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শুধু বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। কয়েক মাস আগে থেকে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কিছু পর্যটক আমাদের অগোচরে সেখানে যেতেন। কড়াকড়ি আরোপ করায় কোনো পর্যটককে ছেঁড়াদ্বীপে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের দাবি, সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা সাড়ে ১০ হাজার। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় আরও ৪ হাজার মানুষ বসবাস করছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে। এরমধ্যে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের আয়- রোজগারের একমাত্র খাত হলো পর্যটন মৌসুম। বছরের চার মাস দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের পরিবহন করে আয়-রোজগারের মাধ্যমে সংসার চালাচ্ছেন। সেখানে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাওয়া বন্ধ করলে বেকার হয়ে পড়বে অনেকে। তাই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।  সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ জানান, সকাল থেকে কোস্টগার্ড কর্তৃক সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে যেতে বাধা প্রদান করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ স্থানীয় জনসাধারণ। এ ব্যাপারে পুরো দ্বীপে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাকে পুরো সেন্টমার্টিনে মাইকিং করা হয়েছে। দ্বীপে যান চলাচল, দোকান, হোটেল রেস্তোরাঁসহ সব কিছু বন্ধ রয়েছে। দুপুরে দ্বীপে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করা পর্যটকদের যাতে সমস্যা না হয় সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর