মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বাধীনতার আগে নির্মিত সেতু ভেঙে পড়ায় ভোগান্তি

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় দীর্ঘ ৪৯ বছরের পুরনো বাগভাণ্ডার সেতুটি ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুর ওপর দিয়ে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে তা সংস্কার করা হচ্ছিল না। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করে সেতুটি সংস্কার করার উদ্যোগ নিলেও তা সময়মতো  হয়নি। জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের ভুরুঙ্গামারী-বাগভাণ্ডার সড়কের পূর্ব বাগভা ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুটি ভেঙে গিয়ে  ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুর ওপর দিয়ে চলছিল যানবাহনসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ‘ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ’ কথা লিখে লাল ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্যসহ বাংলাদেশ প্রতিদিনে গত ডিসেম্বরের শুরুতে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সেতুটি অবশেষে গত রবিবার ভেঙে  গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পড়ে যান এলাকাবাসী। সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। দীর্ঘদিন ধরে এ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও এগিয়ে আসেনি কেউ।

সদরের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী  এ সেতুর ওপর দিয়ে উপজেলার মইদাম, পাথরডুবি ও বাগভা ার বিজিবি ক্যাম্প, ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভা ার, খামারপত্র নবীশ, মানিক কাজির কিছু অংশ, ভোটহাট গ্রাম ও ১ নম্বর পাথরডুবী ইউনিয়নের চারটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করত। বর্তমানে পুরো সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এসব মানুষ। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন একটি  সেতু দ্রুত নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। ভেঙে পড়া সেতুতে পার্শ¦বর্তী ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান এরশাদ নিজ উদ্যোগে পার্শ্ববর্তী জমির মাটি ফেলে দুইপাড়ের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে জনদুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছেন বলে জানান। তিনি জানান, কারও সহযোগিতায় নয়, স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজ অর্থায়নে মাটি ভরাট করে হালকা যানবাহন ও জনচলাচলের ব্যবস্থা করছি। এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী সদর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেই সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে সেতুটির প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর