শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বায়োচার ব্যবহারে সুফল পাচ্ছেন কৃষক

নওগাঁ প্রতিনিধি

বায়োচার ব্যবহারে সুফল পাচ্ছেন কৃষক

নওগাঁয় দিনদিন বাড়ছে বন্ধু চুলার ব্যবহার। এ চুলায় রান্নার পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য জমিতে ব্যবহারের ফলে মাটির স্বাস্থ্যও রক্ষা হচ্ছে। কৃষি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জমিতে একবার বায়োচার (চুলা থেকে প্রাপ্ত পুড়ে যাওয়া ছাই) ব্যবহার করলে শত বছর কার্যকারিতা থাকে। তাই কার্বন-সমৃদ্ধ বায়োচার ব্যবহারে কৃষকদের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি জমির উর্বরতা ও ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা যায়, নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাঁচ শতাধিক কৃষক চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, সরিষা, গম, ধান, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, ভুট্টাসহ নানা ফসলি জমিতে বায়োচার ব্যবহার করেছেন। প্রকল্পটি আইসিসিও এবং কার্ক ইন অ্যাক্টাইর সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা সিসিডিবি মাঠ পর্যায়ে ডিএইকে সঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়ন করছে। কৃষি বন্ধু চুলায় কাঠ বা গোবর ও বিভিন্ন ধরনের বায়োমাস বা কৃষি অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে বায়োচার পাওয়া যায় যা কার্বন-সমৃদ্ধ। এই বায়োচার জমিতে ব্যবহারে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় এবং খরাপ্রবণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চাষাবাদ করা যায়। বায়োচার জমিতে ভারী ও বিষাক্ত ধাতুকে  নিষ্ক্রিয় করে রাখে। ফলে ফলে পাওয়া যায় নিরাপদ ও বিষাক্ত ধাতুমুক্ত ফসল। তাছাড়া বন্ধু চুলায় ৩০-৪০ শতাংশ জ্বালানি কম লাগে। এতে রক্ষা পায় বনজ সম্পদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ব্যবহারকারীরা বলছেন, বায়োচার ও কার্বন-সমৃদ্ধ জৈব সার ব্যবহার করায় জমিতে সেচ ও রাসায়নিক সার কম দিতে হচ্ছে। মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, জমিতে ৫ শতাংশ পর্যন্ত জৈব পদার্থ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আমাদের জমিতে অনেক কম পরিমাণ জৈব পদার্থ আছে।

সর্বশেষ খবর