রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নদীর চরে সবজি ও ঘাস চাষ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

নদীর চরে সবজি ও ঘাস চাষ

দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চারণ ভূমির পরিমাণ দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। তাই কৃষক বা খামারিরা পরিত্যক্ত কিংবা অল্প জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এ কারণেই দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে করতোয়া নদীতে জেগে ওঠা চরে নেপিয়ার ঘাসসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হচ্ছে। গবাদি পশুর খাবারে নেপিয়ার ঘাস গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিশেষ করে দুগ্ধবতী গাভীর জন্য এ জাতীয় সবুজ ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। তবে নেপিয়ার ছাড়াও দেশে পারা, জাম্বু, জার্মান ও পাপচন ঘাসও চাষ হয়। স্থানীয় কৃষক রুবেলসহ কয়েক খামারি জানায়, আগে দেশে চারণভূমিতে গরুকে খাওয়ানো হতো। কিন্তু চারণভূমির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় অল্প জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষে আগ্রহী। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় নেপিয়ার ঘাস খুব ভালো হয়। কচি অবস্থায় পুষ্টিমানও বেশি থাকে। গবাদি পশুর জন্য নেপিয়ার অত্যন্ত উপাদেয় ও পুষ্টিকর খাদ্য। কারণ এ ঘাসটি অল্প সময়ে বৃদ্ধি পায় এবং চার বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। অনেকের গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া খাদ্যাভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। পতিত জমিতে চাষ করেই চাহিদা পূরণসহ অর্থ উপার্জনও করা যায়। এ ছাড়াও করোনার এই সময়ে খাদ্য উৎপাদনে মানবদেহের পুষ্টি চাহিদা বিবেচনা করে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা ব্যাপকহারে সবজি চাষ করছেন। এসব বিবেচনায় নদীতে জেগে ওঠা চরে সবজি ও নেপিয়ার ঘাস চাষ হচ্ছে। ফলনও ভালো পাওয়া যায়। এসব চরের জমিতে আগাম জাতের আলু, পুঁইশাক, ধনিয়া পাতা, লালশাক, লাউশাক, মিষ্টি কদু, চাষ করেও অনেকে লাভবান হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর