বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন ভাঙনের শঙ্কায় এলাকাবাসী

পাবনা প্রতিনিধি

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন ভাঙনের শঙ্কায় এলাকাবাসী

পাবনায় পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন করায় ভাঙনের আশঙ্কায় পড়েছেন এলাকাবাসী। জেলার সুজানগর উপজেলার এক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও পদ্মা নদী থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন তারা। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকার পদ্মা নদীর হাসামপুর, বড়খাপুর এবং নাজিরগঞ্জ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এতে একদিকে পদ্মা পাড়ের বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি ও মূল্যবান গাছ-পালা ভাঙনের মুখে পড়ছে। অন্যদিকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের চলাচলের রাস্তাঘাট চরমভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। তারা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহীর (ইউএনও) কাছে প্রতিকার  চেয়েছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের গৌরাঙ্গ বাজার ও বকাউলকান্দির উত্তর পাশে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করতে  দেখা গেছে। ইউনিয়নটির ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাদের আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন। এদিকে সাতবাড়িয়ার কিছু এলাকায়ও এলাকার প্রভাবশালী মহল এই কাজ করে যাচ্ছেন দেদার। যেন দেখার কেউ নেই। সুজানগর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুজানগরে সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল নেই। কিন্তু তারপরও উপজেলার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রকাশ্যে পদ্মা নদীর ওই সব পয়েন্ট থেকে নিষিদ্ধ শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে। পদ্মাপাড়ের হাসামপুর গ্রামের আবদুল ওহাব বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্মার নদীর ওইসব পয়েন্ট থেকে শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

পদ্মা পাড়ের মহনপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে উত্তোলন করার কারণে পদ্মা নদীর নিকটবর্তী বরখাপুর, হাসামপুর, কামারহাট, গোয়ারিয়া এবং মালফিয়া গ্রামের শত শত বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি, মূল্যবান গাছপালা এমনকি নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত ভাঙনের মুখে পড়েছে। বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ওই সব বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি, গাছ-পালা ও ভূমি অফিস নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধে মাঝে-মধ্যেই নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করার পাশাপাশি বালু ব্যবসায়ীদের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর