বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পিঁয়াজ আমদানিতে ভাটা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

পিঁয়াজ আমদানিতে ভাটা

দেশীয় পিঁয়াজের মান ভালো। তুলনামূলকভাবে দাম কম। দেশের খোলা বাজারে সরবরাহও বেশি। এসব কারণে আমদানিকৃত পিঁয়াজের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ দিন দিন কমছে। আবার ভারতেই পিঁয়াজের দাম বেশি। ফলে আমদানি করা পিঁয়াজ বিক্রিতে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। তাই অনুমতি থাকলেও পিঁয়াজ আমদানি করছে না দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পিঁয়াজ আমদানিকারকরা। এর আগে নানা রকম জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরের গত ২ জানুয়ারিতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। প্রথমদিকে কিছু ট্রাক পিঁয়াজ আমদানি করে ব্যবসায়ীদের গুণতে হয় মোটা অংকের লোকসান। তাই লোকসান হওয়ায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আমদানি করছে না হিলি স্থলবন্দরের পিঁয়াজ আমদানিকারকরা।

আগামী মাসে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে বলে জানান হিলি স্থলবন্দরের আমদানিক-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ। হিলি বাজারের ব্যবসায়ী সাবুল হোসেন জানান, বাজারে আমদানিকৃত পিঁয়াজের সরবরাহ নেই। তবে দেশীয় পিঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই থেকে তিনদিনের ব্যবধানে দেশী পিঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে দেশি পিঁয়াজ পাইকারি ২৩-২৪ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৫-৩০ টাকায়। আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে আমদানিকৃত পিঁয়াজের চেয়ে দেশি পিঁয়াজের মান ভালো ও দাম কম থাকায় ভোক্তারা সেই পিঁয়াজের চাহিদা বেশি দেখায়। তাই লোকসান আশঙ্কায় আমদানিকারকরাও পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন। বাজার স্বাভাবিক হলে আবার পিঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতের অভ্যন্তরে পিঁয়াজের দাম বেশি ও সরকার পিঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ করায় পিঁয়াজ আমদানি করে বিক্রিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। একারণে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে আমদানিকারকরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর