বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

জমজমাট প্রচারণা

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

জমজমাট প্রচারণা

শেষ মুহূর্তে জমজমাট প্রচারণায় প্রার্থীরা। ফলে জমে উঠেছে চর্তুথ ধাপে লালমনিরহাট পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা। তবে ভোটাররা চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার নিশ্চয়তা। আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলছেন নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম লালমনিরহাট পৌর এলাকা। শহরের অলি-গলিতে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে কে হচ্ছেন পৌর পিতা। তবে এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীও জাপার প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ নৌকায় ভোট দিবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন জানালেন, প্রতিপক্ষের বাধা উপেক্ষা করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে কর্মীরা। বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী মোশাররফ হোসেন রানা বলেন, ভোট নিয়ে সংশয় আছে। সুষ্ঠু ভোট না হওয়ার আশঙ্কা এই প্রার্থীর। আর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ওয়াহেদুল হাসান সেনা। এদিকে ভোটাররা বলছেন, যে পৌরসভার উন্নয়ন কাজ করতে পারবেন। সৎ ও যোগ্য প্রার্থী তাকেই ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করতে চান। নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট আনন্দমুখর পরিবেশেই প্রয়োগ করেন ভোটাররা সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনজুরুল হাসান জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জেলা নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, লালমনিরহাট পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৮ হাজার ৩০৯ জন।

এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮টি।  ভোট কক্ষ রয়েছে ৩৪৬টি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর