বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

৩২ রেলক্রসিংয়ের অর্ধেকই অরক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

৩২টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ১৬টিতেই নেই নিরাপত্তাকর্মী ও গেট। কোথাও রেললাইনের ওপর বসছে বাজার। কোথাও আবার ইট ঝুলিয়ে সিগন্যাল সচল রাখা হয়েছে। এ কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। সান্তাহার থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ৭০ কিলোমিটার রেল লাইনে এমন অব্যবস্থাপনা চলছে বছরের পর বছর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।  জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সান্তাহার রেল জংশনের ঢাকামুখী আউটার সিগনালটি নষ্ট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেও কাজ হয়নি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে রেল কর্মচারীরাই নিজস্ব প্রযুক্তিতে  সিগনালটি সচল রেখেছেন।

 সান্তাহার-নাটোর রেলপথের তারাপুর এলাকায় এ সিগন্যাল বাতির অদূরেই অরক্ষিত রেলগেট। সেখানে নেই কোনো গেট ব্যারিয়ার। ফলে যানবাহন পারাপারে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তারাপুরে গেটম্যান হিসেবে দেড় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন ইয়াকুব আলী। তিনি বলেন, এখানে গেট ব্যারিয়ার নেই। তাই খুব সমস্যা হয়। মাঝেমধ্যে ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানবাহন চলে আসে।

তারা বুঝতে পারে না ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, আধুনিক যুগে সিগন্যাল ইট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটা বিশ্বাস করা যায় না। তারপরও এটাই এখানে বাস্তবতা। এদিকে সান্তাহারে রেল লাইনের ওপর চলে বিভিন্ন পণ্য বিকিকিনি। এ রেলরুটে গত ৬ মাসে ট্রেনের চাকায় প্রাণ গেছে ২৪ জনের। সতর্কতা না মানায় অপমৃত্যু কমানো যাচ্ছে না বলে মনে করছে পুলিশ। সান্তাহার জিআরপি থানার ওসি মনজের আলী বলেন, বার বার নির্দেশ দেওয়া হয় রেললাইনে বাজার না বসার, কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। সান্তাহার রেলজংশনের রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার হাবিবুর রহমান বলেন, সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দেশের প্রাচীনতম রেল জংশনের একটি সান্তাহার। এখান থেকে জয়পুরহাট ও নাটোরের ৭০ কিলোমিটার জুড়েই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এই পথের ৩২টির মধ্যে ১৬টিতেই নেই নিরাপত্তাকর্মী ও গেট। এই জংশন দিয়ে প্রতিদিন ২৫টি ট্রেন চলাচল করে। রেলকে জনবান্ধব ও আধুনিক সেবানির্ভর করতে এ খাতে আরও বেশি নজর দেওয়ার দাবি বিশিষ্টজনদের।

সর্বশেষ খবর