শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পুষ্টি ও ঔষধি ‘চিয়া’ বীজে আগ্রহ চাষিদের

দিনাজপুর প্রতিনিধি

পুষ্টি ও ঔষধি ‘চিয়া’ বীজে আগ্রহ চাষিদের

দিনাজপুরে চিয়া বীজের খেত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উচ্চপুষ্টি ও ঔষধিগুণসম্পন্ন লাভজনক ফসল ‘চিয়া’ বীজ চাষ বাংলাদেশে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে চিয়ার পরিচিতি ও ব্যবহার কম হলেও আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা রয়েছে। স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং লাভজনক হওয়ায় অনেকে এর চাষ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সারা দেশে চিয়া চাষ ছড়িয়ে দিলে একদিকে কৃষক লাভবান হবেন, অন্যদিকে স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। ঔষধিগুণসম্পন্ন এ দানাদার ফসল চিয়ায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ ও প্রোটিন। এটি ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিয়া ফসল ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে- এমনটাই বলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের ড. মশিউর রহমান। এ ছাড়া চিয়া বীজ শুকনো অবস্থায়ও খাওয়া যায়। তবে চিয়া বীজকে বিভিন্ন খাবার যেমন দই, পুডিং বা বিস্কুটের সঙ্গে যোগ করে এর চাহিদা বাড়ানো যেতে পারে। দিনাজপুরে সদরের কৃষক নুরুল আমিন বলেন, বাংলাদেশে রবি ফসল হিসেবে চাষযোগ্য যেকোনো জমিতে চিয়া চাষ করা যায়। বেশি ফলনের জন্য ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চাষ করতে হবে। তবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বোনা যেতে পারে। জমিতে তিন থেকে চারটি চাষ দিয়ে মাটি ঝরঝরে করে নিতে হবে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও প্রতি হেক্টরে সর্বোচ্চ দুই টন উৎপাদন হতে পারে। বাংলাদেশে এক আমদানি-কারকের কাছে এ চিয়া প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। ২০১০ সালে চিয়া বীজ বাংলাদেশে আনা হয়। ২০১৭ সালে পাবনা, বগুড়া, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, দিনাজপুরে চিয়া চাষে ব্যাপক সফলতা আসে।

সর্বশেষ খবর