মানিকগঞ্জে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে মাটি ভরাট ও দেয়াল নির্মাণের কারণে শতশত বিঘা কৃষিজমি চাষাবাদ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় এলাকার কৃষকরা। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের মুলজান, বাগজান, ভাটবাউর, কালিয়ানি, চামটা এলাকার কৃষি জমিতে বর্ষার পানি প্রবেশ এবং বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পথ হলো ঢাকা আরিচা মহাসড়কে অবস্থিত ভাটবাউর ও মুলজান সেতু। এবার তিন দফা বন্যায় পানি নামতে দেরি হয়েছে। এছাড়া মুলজান সেতুর মুখ ভরাট করার কারণে পানি নামতে পারেনি। সময়মতো পানি না নামায় শত শত একর জমি পতিত রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানি প্রবাহের খালটিও কাজে আসছে না। সরেজমিনে দেখা যায় ঢাকা আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশের জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। পানি প্রবাহ বন্ধের কারণে সড়কের দক্ষিণ পাশের জমি পতিত রয়েছে। স্রোত বন্ধ থাকার কারণে কচুরিপানায় ভরে রয়েছে কৃষি জমি। এলাকার কৃষক রমিজ, কালা, বেলাল বলেন আমরা চাষাবাদ করে সংসার চালাই। এই জমিতে সরিষা ও ইরি আবাদ করি। পানি আটকে পড়ায় সরিষার আবাদ করতে পারি নাই। ইরির আবাদ সময়মতো করতে পারব কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। গজারিয়া ৩নং গভীর নলকূপের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, গজারিয়া চকে বিভিন্ন ইটভাটা ও পৌরসভার ময়লা ফেলার ভাগার হওয়ায় কৃষি জমি কমেছে অনেক। ফলে পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। এই চকে ৪টি গভীর নলকূপ ও ১২ অগভীর নলকূপ আছে। সময়মতো পানি না নামার কারণে সরিষা আবাদ হয় নাই। এ ছাড়াও ঢাকা আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবাহমান খালটি বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এগুলো দ্রুত অপসারণ করা দরকার। এবছর পানি বের হবার ব্যবস্থা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন আমরা অসহায় গরিব মানুষ। এই জমিই একমাত্র ভরসা। এই চকের পানি বের হওয়ার একাধিক রাস্তা ছিল। একে একে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মাটি ভরাটের সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত বলে বাধা দিতে সাহস পাইনি।