সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ধামরাইয়ে হুমকিতে বংশী নদী

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকিতে ঢাকার উপকণ্ঠের ধামরাইয়ের বংশী নদী। এ ছাড়া অবৈধ ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ব্যবসায়ীরা। ইজারা ছাড়াই একটি প্রভাবশালী  মহল নদী থেকে বালু নেওয়ার ফলে  সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। আর নদীতীরবর্তী এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, পাকা বাড়ি, পোলট্রি ফার্ম, সেতু ভাঙনের মুখে পড়েছে। বিষয়গুলো উপজেলা প্রশাসন জানলেও তা বন্ধের কোনো প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন না তারা। সরেজমিন দেখা গেছে,  কালামপুর আশ্রয় কেন্দ্র ও গুচ্ছ গ্রামের মাঝে কয়েকটি পোলট্রি ফার্মের পাশে বংশী নদীতে ড্রেজার লাগিয়ে  জমি ভরাট করছেন কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী। ড্রেজার লাগানোর ফলে এলজিইডির পাকা সড়ক ভেঙে যেতে পারে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমির। একইভাবে বাস্তা বনেরচর, কুশুরা, পানকাত্তাসহ অর্ধশতাধিক স্থানে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে লুটে নিচ্ছে সরকারি সম্পদ বালু।

কিন্তু এ সম্পদ রক্ষাকারী উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করতে পারছেন না। বংশী নদীর ড্রেজারে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বংশী নদীতে ড্রেজার দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে অনেকের ফসলি জমি ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। আর ড্রেজারের শব্দে মাথাব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তও হয়ে পড়ছে। বিকট শব্দের কারণে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়াও করতে পারছে না। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। মাঝে মধ্যে উপজেলার লোকজন এসে ড্রেজারের পাইপ ভেঙে দিলেও ফের জোড়া লাগিয়ে ড্রেজার চালানো শুরু করেন তারা। তাই থেমে নেই বংশী নদীর ড্রেজার। ধামরাইয়ের কালামপুর দেপসাই পশ্চিমপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গুচ্ছগ্রামের পাশে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে আশপাশের জমি ও পোলট্রি ফার্ম। তাই এ ড্রেজার দ্রুত বন্ধের দাবি তাদের। ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক জানান, বংশী নদীতে কেউ ড্রেজার লাগালে তা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর