কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুই লক্ষাধিক মানুষের জন্য ৩১ শয্যার হাসপাতালটি জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটে ধুঁকছে। ক্লিনার, অ্যাম্বুলেন্স চালক, ফার্মাসিস্ট ও স্টোর কিপার ছাড়াই এখানে চলছে সেবা কার্যক্রম। নেই এক্স-রে মেশিন, ডেন্টাল চেয়ার ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। বাইরে থেকে অস্থায়ী তিনজন লোককে চিকিৎসকরা চাঁদা দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করান। সূত্র জানায়, ৩১ শয্যার হাসপাতালে অধিকাংশ সময়ই দ্বিগুণ রোগী থাকে। আউট ডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন তিন শতাধিক। রোগীর চাপ সামলাতে যেখানে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন সেখানে ১২ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মধ্যে দুজন কনসালটেন্ট ও একজন মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির ২৪ জনের মধ্যে চারজনের পদ খালি। তৃতীয় শ্রেণির ১০ জনের স্থলে আছেন মাত্র দুজন। আর চতুর্থ শ্রেণির ২৪ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন আটজন। ব্রাহ্মণপাড়া সদরের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন, দুই লক্ষাধিক মানুষের এই উপজেলায় ৩১ শয্যার হাসপাতাল যথেষ্ট নয়। এই হাসপাতালের বেড ও জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। যন্ত্রপাতির সংকট দূর করার দাবি জানাচ্ছি। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন জানান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকট প্রকট। বিশেষ করে কোনো ক্লিনার নেই। অস্থায়ী তিনজন লোককে মাসে ২ হাজার টাকা ও প্রতিদিন দুই বেলা খাবার দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। চিকিৎসকরা চাঁদা তুলে তাদের সম্মানী দেন। ডেন্টাল চেয়ার ও আলট্রাসনো মেশিন বসানোর চেষ্টা করছি।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই দীর্ঘদিন। আমার গাড়ির চালককে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালানো হচ্ছে।