শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

করোনাকালে ধানের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে গমের চাষও বেশি হয়েছে। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। দিনাজপুর কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ১০০ হেক্টর যা গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। জানা যায়, ধানের চেয়ে গম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন কাজে কৃষকের শ্রমও কম লাগে। প্রতিবিঘা জমিতে গম চাষে খরচ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। অল্প শ্রমে স্বল্প ব্যয়ে গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। প্রতিবিঘা জমিতে ১৪-১৮ মণ পাওয়া যায়। বাজারে গমের চাহিদার সঙ্গে মূল্যও দিন দিন বাড়ছে। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে গমের ফলন পাওয়া যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুরের মহাপরিচালক ড. এছরাইল হোসেন জানান, সারা দেশে এবার গমের ফলন ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধমে ২ হাজার ৩০৫ জন কৃষকের জমিতে প্রদর্শনী খামার করতে ৪৩ টন বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া গম উৎপাদনে বিএডিসিকে ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন তিনটি জাতের ২৩ টনসহ মোট ৬০ টন প্রজনন বীজ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে সারা দেশে সাড়ে তিন লাখ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হচ্ছে। কৃষকের আগ্রহ সৃষ্টির জন্য প্রজনন বীজ সরবরাহ করা যায়নি। জায়গা সংকটে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রজনন বীজ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সেতাবগঞ্জ সুগারমিলের কান্তা ফার্মাসহ বিভিন্ন স্থানের পরিত্যক্ত জমি লিজ দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর