শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে লাল নিশান তবুও চলছে যানবাহন

ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে লাল নিশান তবুও চলছে যানবাহন

‘দীর্ঘদিন ধইরা ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজটাতে একটা বড় গর্ত হইয়া পইড়া আছে। দেইখ্যা মনে অয়, এইডা ব্রিজ না, যেন একটা মরণফাঁদ! প্রতিদিন শত শত মানুষ গাড়িতে কইরা এই ভাঙাচোরা ব্রিজটার ওপর দিয়াই জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতাছে। এইডা লইয়া কারু যেন কুনু মাথাব্যথা নাই।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের প্রধান ও একমাত্র নবীনগর-সলিমগঞ্জ সড়কের শ্যামগ্রামে অবস্থিত জরাজীর্ণ ব্রিজটির বেহাল অবস্থা নিয়ে কথাগুলো বলেন স্থানীয় অটোরিকশা চালক রহমান মিয়া। জানা যায়, নবীনগর থেকে সড়কপথে সলিমগঞ্জ যাওয়ার রাস্তার মাঝিয়ারা মোড়সংলগ্ন শ্যামগ্রাম বাজারে প্রবেশের প্রথম এই ব্রিজটি প্রায় চার দশক আগে নির্মিত হয়। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া এই ব্রিজের দুই পাশের রেলিংসহ পুরো ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। অথচ প্রতিদিন শত শত লোক মাইক্রো, টেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে ঝুঁকি নিয়েই এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছেন। সম্প্রতি ব্রিজটির মাঝখানে বড় একটি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ওই গর্তে রাতে একাধিক যান দুর্ঘটনায় পতিত হয়।

স্থানীয় লোকজন গর্তে একটি বাঁশ ফেলে তার মাথায় লাল নিশান উড়িয়ে দেয়। এই অবস্থায় ইতিমধ্যে দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারো কোনো ভ্রƒক্ষেপ নেই। শ্যামগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আমীর হোসেন বাবুল বলেন, ‘ব্রিজটি কমপক্ষে চল্লিশ বছর আগে নির্মিত। এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বছরখানেক আগে আমি সামান্য সংস্কার করিয়েছিলাম। কয়েকদিন ধরে ব্রিজের মাঝখানে বড় গর্ত হওয়ায় এখন নতুন করে এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা ছাড়া উপায় নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর