শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কিশোরগঞ্জের হাওরে ফেরি পারাপারে ইজারাজুলুম

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের হাওরে ফেরি পারাপারে ইজারাজুলুম

কিশোরগঞ্জের হাওরে ফেরি পারাপারে ইজারাজুলুমে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। নির্ধারিত রেটের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে পাঁচগুণ পর্যন্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে দুর্ব্যবহার এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) করিমগঞ্জের চামটাঘাট থেকে ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় যাতায়াতের জন্য পাঁচটি ফেরি চালু করেছে। সওজ থেকে ফেরিগুলো তিন বছর মেয়াদি ইজারা দেওয়া হয়েছে।  নিয়ামতপুর এলাকার এক সিএনজি অটোচালক অভিযোগ করেন, যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন ফেরি পারাপার হতে হয়। চার্টে ১০ টাকা উল্লেখ থাকলেও রাখা হয় ২০ টাকা। এক পিকআপ ভ্যানচালক অভিযোগ করেন- পিকআপ লোড থাকলে রাখা হয় ১০০ টাকা, আর আনলোড থাকলে রাখা হয় ৫০ টাকা। এছাড়া মোটরসাইকেল পারাপারে পাঁচ টাকার স্থলে রাখা হয় ১০ টাকা করে। ভুক্তভোগী অনেকে জানান, হাওর থেকে জেলা সদরে যাতায়াত করতে এক সময় করিমগঞ্জের চামটাঘাটে ইজারাজুলুম হতো। ইজারাদার ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করতেন। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে চামটাঘাটে ইজারা প্রথা বন্ধ হয়। ফেরি চালু হওয়ার পর হাওরবাসী মনে করেছিল, এবার হয়তো ইজারাজুলুম বন্ধ হবে। কিন্তু আগে যা হতো, এখনো তাই হচ্ছে। ফেরিগুলোতে ভাড়ার চার্ট পর্যন্ত দেখানো হয়না। এমনকি রসিদও দেওয়া হয়না। ইটনার বলদা ফেরির ইজারাদার ইসমাইল হোসেন বলেন, নির্ধারিত রেটের বাইরে কোন টাকা নেওয়া হয়না। চালকরাই কোনো রসিদ নেয় না। মিঠামইন উপজেলার শান্তিপুর ফেরির ইজারাদার নূরুল হক বেশি ইজারা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, পিকআপ থেকে ৪০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা এবং লোড থাকলে ১০০ টাকা নেই। কিশোরগঞ্জ সওজের নির্বাহী পরিচালক রিতেশ বড়ুয়া বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর