সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কুমড়ার রাজ্য গাইবান্ধার চর

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

কুমড়ার রাজ্য গাইবান্ধার চর

কুমড়ার রাজ্য গাইবান্ধার চরে এবার ভালো ফলন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চরে এখন মিষ্টি কুমড়ার আবাদ দিন দিন বাড়ছে। জেলা সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলা তিস্তা নদী বেষ্টিত। বন্যায় এসব এলাকার চরগুলো পানিতে তলিয়ে থাকে। বন্যার পর জেগে উঠলেও অধিকাংশ চরই থেকে যায় অনাবাদী। তবে কৃষি বিভাগের তৎপরতায় এবার এই এলাকার চরের ৪৫০ হেক্টর জমি মিষ্টি কুমড়া চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কৃষকদের সাড়ায় চর জুড়ে হাসছে মিষ্টি কুমড়া। ইতিমধ্যেই মিষ্টি কুমড়াগুলো বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। ভালো দামে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে চরে দুই থেকে তিন ফুট গভীর গর্ত করে জৈব সার দেওয়া হয়। একটি গর্ত থেকে অন্য গর্তের দূরত্ব রাখা হয়েছে ৭/৮ ফুট। গর্তগুলোতে কুমড়ার বীজ বপন করে পানি দেওয়াসহ পরিচর্যা করা হয়। কৃষি বিভাগ থেকে তারা মিষ্টি কুমড়ার ব্ল্যাক সুইটি, মিতালী, ব্ল্যাক সিটি সেরা, সোহাগী জাতের বীজ পেয়ে তা রোপণ করেছেন। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলার চার উপজেলায় ৫ হাজার ৪০০ কৃষক ৪৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। সদরের ধুতিচোরা চরের কৃষক ফয়েজ মিয়া বলেন, বীজ বপনের ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে কুমড়া বিক্রি করা যায়। সে অনুযায়ী  যারা আগে বীজ বপন করেছিল তারা এখনই বাজারে কুমড়া বিক্রি করছেন প্রতিটি ২৫/৩০ টাকা দরে। ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের চরখাটিয়ামারীর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া জানান, এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষের খরচ পড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা থেকে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, কৃষকদের যে হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ দেওয়া হয়েছে তার ফলন খুবই ভালো হয়েছে।

বীজ দেওয়ার পর বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই চরাঞ্চলে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বাড়ছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর