সৈয়দপুরে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে আহত হয়েছেন অন্তঃত ২৫ জন। তাদের মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩ জন। এ সময় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে একটি মোটর সাইকেল। ভাঙচুর হয়েছে আরও ৫/৬টি। শনিবার রাতে সৈয়দপুর গোলাহাট এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাফিকা আখতার জাহান বেবী ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী সিদ্দিকুল আলমের সমর্থক আর কর্মীদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ আর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে শহরের গোলাহাট দুই নম্বর আটকেপড়া পাকিস্তানি ক্যাম্পে সিদ্দিকুল আলমের লাঙ্গল মার্কার সমর্থনে পথসভা শেষে  ফেরার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরীর বাড়ির সামনে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের আহত হন ২৫ জন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হিটলার  চৌধুরী অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি জিপ গাড়ি ভাঙচুর করে এবং তার তিন কর্মীকে আহত করে। সিদ্দিকুল আলম জানান, পরিকল্পিতভাবে হিটলার চৌধুরীর নেতৃত্বে অতর্কিত এ হামলা চালানো হয়েছে। এসব  মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি কর্মীকে আহত করা হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন, লাঙ্গলের প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এতে স্থানীয়  লোকজন প্রতিবাদ করলে ও জাতীয় পার্টির কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে সেখানে তাদের ১০ জন কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে। সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকায় তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠান হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে উভয় পক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত মামলা করেনি।