বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভরসা ভাঙা সেতু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ভরসা ভাঙা সেতু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তাটি যেন এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। একদিকে মাটির ভাঙাচোরা রাস্তা, অন্যদিকে ভাঙা সেতু। জানা যায়, নবীনগরের লাপাং থেকে ইসলামপুর রাস্তাটি খুবই করুণ। দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকাসহ সীমান্তবর্তী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি, মির্জাচর গ্রামের অসংখ্য জনসাধারণ সোয়া ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মাটির ভাঙাচোরা রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে আসছে। বর্ষাকালে সড়কটি পানিতে তলিয়ে গেলে নৌকাই হয় একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কটির মাঝখানে ডুবেরচক নামক এলাকায় একটি খালের ওপর থাকা ব্রিজ আজও এলাকাবাসী স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে পারছেন না। প্রায় ৩০ বছর আগে সেতুটি নির্মিত হলেও বর্তমানে এটির অবস্থা একেবারে নাজুক। সেতুর দুই পাশে বাঁশের মাচা তৈরি করে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বয়োবৃদ্ধ, মুমূর্ষু রোগী, গর্ভবতী মহিলা, শিশু, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে। প্রায় সময় ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী বলছেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই অঞ্চলের মানুষ খুব কষ্ট করে উপজেলা সদরসহ জেলা সদরে যাতায়াত করে আসছেন। ফলে এ সড়ক ও সেতুটি নতুন করে নির্মিত হলে দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে।

নবীনগর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ইসলামপুর, চরলাপাং ও লাপাংসহ পাশের রায়পুরা উপজেলার শত শত মানুষের একমাত্র ভরসা। এই সড়কটির দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আশা করছেন খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। নবীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ১১২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থ সড়ক এবং সাড়ে ৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের একটি কালভার্ট নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৭৮ হাজার ৩১৭ টাকা। মার্চ মাসের মাঝামাঝি নির্মাণকাজ শুরু হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর