শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কলাপাড়ায় গোলের গুড়ের হাট

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কলাপাড়ায় গোলের গুড়ের হাট

গোলের গুড়ের হাট বসেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। এ গুড়ের চাহিদাও রয়েছে অনেক। বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা ভিড় করছেন এ হাটে। ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীসহ গুড় তৈরির কারিগররা। পৌর শহরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় শতাধিক চাষি প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটে সারিবদ্ধভাবে বসে বিক্রি করেন গোলের গুড়। স্থানীয় সূত্র জানায়, গোল গাছের ডগা থেকে আসা রস বছরের অগ্রহায়ণ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করেন কৃষকরা। তা দিয়ে তৈরি করা গুড় এ হাটে বিক্রি করেন। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর, চাঁদপাড়া, ইসলামপুর, রজপাড়া, নাওভাঙ্গা ও মিঠাগঞ্জ গ্রামে প্রচুর গোল গাছ রয়েছে। এ গাছের পরিচর্যা করতে হয় না। রোগবালাইও নেই। তাই খরচ কম চাষিদের। বছরের চার মাস গোলের গুড় বিক্রি করে গোলচাষিরা বাড়তি আয় করেন। স্থানীয় চাষিরা জানান, গোল গাছের রস থেকে সাধারণত তিন ধরনের গুড় হয়। এর মধ্যে শক্ত গুড়কে বলা হয় রোয়া। এছাড়া রয়েছে পাতলা ও ঝড়া গুড়। শীতকালে এ গুড় তৈরি হয় বলে এলাকার মানুষ অন্য মৌসুমের জন্যও মজুদ রাখেন। গোলচাষিদের দাবি, এ গুড়ে কোনো ক্ষতি নেই। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের গোলচাষি শান্তি রঞ্জন বলেন, গোল গাছ থেকে সংগৃহীত রস আগুনে ফুটিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। এরপর মাটির হাঁড়িতে সংরক্ষণ করে বিক্রি করা হয় স্থানীয় বাজারে। এ গুড়ের পরিচিতি একসময় এলাকায় থাকলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে প্রসার লাভ করছে। চাহিদার তুলনায় কম হলেও বিভিন্ন হাট-বাজারে এ গুড় পাওয়া যাচ্ছে। গোলচাষি নিঠুর হাওলাদার বলেন, প্রতি কেজি গুড় ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা শামিম আহম্মেদ বলেন, এ গুড়ের আলাদা স্বাদ রয়েছে। বন বিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুস ছালাম বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে কয়েক স্থানে গোল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এতে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। এ গাছ উপকূলীয় এলাকার প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর