সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

হাওরে হাঁসের খামার

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

হাওরে হাঁসের খামার

হাওর অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার হাওর কাউয়াদিঘি, হাকালুকিসহ বিভিন্ন হাওরে কৃষকরা গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার। একেক খামারে হাজারো হাঁস রয়েছে। এসব হাঁস হাওরের মাছ বা জলজ প্রাণী এবং জলজ উদ্ভিদ খেয়ে থাকে। শুকনো মৌসুমে খাল-বিল-নদীর অল্প পানিতেও রয়েছে পর্যাপ্ত হাঁসের খাবার।  লাভজনক হওয়ায় হাওর পারে এখন অনেকেই হাঁসের খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন। সরেজমিন হাওর কাউয়াদিঘির মধ্যস্থলে গেলে চোখে পড়ে হাজার হাজার হাঁসের ঝাঁক। রাখাল যেমন গরুর পাল নিয়ে ছুটে চলে। তেমনি হাঁসের ঝাঁক নিয়ে ছুটে চলেন মালিক। দল বেঁধে এসব হাঁস হাওরের খাল-বিল-নদীর অল্প পানিতে মাছ বা জলজ প্রাণী কিংবা শেওলা খাচ্ছে। হাওরে মানুষ এসব হাঁস পোষেন এবং এই হাঁসের ডিম, বাচ্চা ও বড় হাঁস বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারে ৪৩২টি হাঁসের খামার রয়েছে। খামারগুলোতে মোট হাঁসের সংখ্যা ৭ লাখ, ৪৮ হাজার ৫৭০টি। স্থানীয় লোকজন বলেন, ‘হাওরের হাঁসের ত্যাল (তেল) হয় জব্বর। এই হাঁসের স্বাদ অন্য হাঁস থেকে আলাদা বলেই এর বেশ কদর আছে স্থানীয় বাজারে। এই হাঁসের ডিমেরও অনেক চাহিদা রয়েছে বাজারে। লাভজনক হওয়ায় হাওর পারে এখন অনেকেই হাঁসের খামার করছেন। পাইকারি ক্রেতারা খোঁয়াড় থেকে ডিম সংগ্রহ করে বাক্স ভর্তি করে গাড়িতে উঠিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ডিমের আড়তে চালান দেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া বলেন, হাওরের খামারে উৎপাদিত ডিমের চাহিদা বাজারে অনেক বেশি দামও পাওয়া যায়। হাঁসের খামারি সুবু মিয়া বলেন, আমি ১৫ বছর পূর্বে ১০০টা হাঁস দিয়ে খামার শুরু করি। এখন আমার খামারে প্রায় ১ হাজার ৫০০ হাঁস আছে। আমার খামারে পাঁচজন শ্রমিক রয়েছে। হাঁস ডিম দেওয়া বন্ধ করলে আমরা আর্থিক সংকটে পড়ে যাই। শ্রমিকদের মজুরি দিতে হিমশিম খেতে হয়। মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুস ছামাদ বলেন, হাওর অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলা হাঁস পালনে একটি সম্ভাবনাময় ব্যবসা। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর