সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

আবাসিক ভবনে চলছে সরকারি অফিস

গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা

আবাসিক ভবনে চলছে সরকারি অফিস

গাইবান্ধায় ভাড়া করা আবাসিক ভবনে চলছে সরকারি অফিসের কার্যক্রম। এ জেলায় পর্যাপ্ত সরকারি ভবন না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রায়শই ঠিকানা বদলের কারণে সরকারি দফতরগুলো খুঁজে পেতে সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এদিকে যে আবাসিক বাড়িগুলো ভাড়া নেওয়া হয়েছে তা অফিস উপযোগী করে তৈরি না হওয়ায় স্থান সংকুলানসহ দাফতরিক কাজে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সদর গাইবান্ধায় ৬৪টি সরকারি অফিসের মধ্যে সরেজমিন ঘুরে অন্তত ২৫টি সরকারি কার্যালয়ের নিজস্ব ভবন না থাকার চিত্র দেখা গেছে। জেলা ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিস, জেলা ক্রীড়া অফিস, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস, জেলা তথ্য অফিস, জেলা ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক অফিস, জেলা সঞ্চয় অফিস, জেলা সমবায় অফিস, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, জেলা কর অফিস, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, শিশু একাডেমি, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, জেলা মার্কেটিং অফিস, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, জেলা বিএডিসি অফিস, পাট অধিদফতর মুখ্য পরিদর্শকের কার্যালয়সহ ২৫টির  বেশি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ চলছে ভাড়া করা বাসাবাড়িতে। এ অফিসগুলোর তিন থেকে চার বার ঠিকানা বদল করতে হয়েছে।  জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক প্রামাণিক বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে জেলা অফিসের কাজ শুরু হয়েছে। তখন থেকেই ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাসিক বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অফিস উপযোগী কক্ষ না হওয়ায় কাজকর্ম করতে কিছুটা অসুবিধা হয়। স্থান সংকুলানও হচ্ছে না। তবে নিজস্ব ভবন তৈরির জন্য জায়গা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে শুনেছি। জেলা ক্রীড়া অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে জেলা অফিস ভাড়া করা বাড়িতে আছে। এ পর্যন্ত দুবার বাড়ি বদল করা হয়েছে। জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, ২০১৩ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত তিন বার বাড়ি বদল করতে হয়েছে। তিনবার ঠিকানা বদল করে ওয়াপদা রোডের আবাসিক এলাকায় জেলা তথ্য অফিসের বর্তমান অবস্থান।

 

সর্বশেষ খবর