বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

মৌলভীবাজারে অবৈধ দখলে হাওর, দুর্ভোগে কৃষক

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারে অবৈধ দখলে হাওর, দুর্ভোগে কৃষক

অবৈধ দখলে মৌলভীবাজার জেলার হাওর। এ জেলার রাজনগর ও সদর উপজেলায় রয়েছে তিন-চারটি হাওর। এসব হাওরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে অনেক ছোট ছোট নদ, খাল ও ছড়া। হাওরপাড়ের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এসব ছড়ার পাড়। কিন্তু হাওর ও নদীর পাড়কে দখল করেছেন প্রভাবশালী মহল। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাউয়া দীঘি হ্ওারের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত রাজনগর উপজেলার সদর, পাঁচগাঁও ও মনসুরনগর ইউনিয়ন। কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক হাওরে যাতায়াতের জন্য সড়কটি একমাত্র অবলম্বন। অবৈধ দখলের কারণে হাওরে তাদের বোরো জমিতে চাষাবাদ করতে দুর্ভোগে পড়েন। সরকারি সড়ক থাকার কথা থাকলেও এই এলাকায় কোনো সড়ক নেই। ফলে হাওরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ছবুরবন এলাকায় ওই প্রভাবশালী মহল হাওড়ের পাড় দখল করে চলাচলের সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে কৃষকরা গরু, মহিষ ও বোরো আবাদের সরঞ্জাম নিয়ে চলাচলের জন্য ব্যবহার করে আসছেন হাওরের হাঁটু পানি। হাঁটু পানিতে নেমে তারা পারাপার হচ্ছেন। আবার সেখানে মাছ শিকারের জন্য গর্ত ও কেউ কেউ বানিয়েছেন ডোবা বা পুকুর। আবার কেউ কেউ পাশের খেতের জমি প্রশস্থ করেছেন। যার ফলে হাওরে বোরো ফসল বুনতে, উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের। হাওর পারের কৃষক নানু মিয়া, ছালিক মিয়াসহ অনেকেই বলেন, হাওর পারের মানুষ এক ফসলি বোর ধানের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু হাওরে যাতায়াতের জন্য কোনো সড়ক নেই। তাই তারা নদীর হাঁটু পানিতে চলাচলের সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। স্থানীয় এসব প্রভাবশালী হাওর ও নদের পাড়কে বিভিন্ন পন্থায় দখল করে রেখেছে। হাওরের রাখাল জালাল মিয়া ও লিয়াকত বলেন, আমাদের গরু ও মহিষ নিয়ে হাওরে যাই। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে কিছু লোক নদীর পাড়কে বিভিন্নভাবে দখল করে রেখেছে। এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, আমরা সেই রকম কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। কৃষকদের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।

সর্বশেষ খবর