শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সূর্যমুখীতে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

সূর্যমুখীতে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

বগুড়ায় সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধির জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে সার-বীজ। সেই সার ও বীজ পেয়ে চাষিরা সময় মতো সূর্যমুখী ফুল চাষ করে সাফল্য পেতে যাচ্ছেন।

বগুড়া সদর উপজেলার গোপালবাড়ী গ্রামের সূর্যমূখী ফুলচাষি পান্না মিয়া জানান, সব গাছে ফুল এসেছে। বেশিরভাগ গাছে ফুল ধরেছে ৭ থেকে ৮টি করে। কোনো গাছে এসেছে কলি। সেগুলো ফোটার অপেক্ষায়। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার, ওষুধও কম লাগে। তেমন পরিচর্যা করতে হয় না। তাছাড়া অন্য তেলবীজ যেমন সরিষা, তিলের চেয়ে এতে তেলও বেশি পাওয়া যায়। পুষ্টি চাহিদা পূরণে সূর্যমূখী তেলের জন্য বিদেশ থেকে বীজ আমদানি করতে হয়। চাষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে বীজ আর আমদানি করতে হবে না। কর্মকর্তারা আরও জানান, বগুড়া সদরে ২০ জনকে প্রণোদনা হিসেবে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এখন অনেক কৃষক আসছেন সূর্যমুখী ফুলের চাষ সম্পর্কে জানতে। এই ফুলের প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তেল উৎপাদন করা যায়। শতকপ্রতি জমিতে বীজ উৎপাদন হয় আট কেজি। প্রতি লিটার তেলের সর্বনিম্ন বাজারমূল্য ২৫০ টাকা। স্বাস্থ্যরক্ষা ও রোগ জীবাণু প্রতিরোধে এই সূর্যমুখী বীজের তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া সূর্যমুখী চাষের পর কৃষক যথাসময়ে ওই জমিতে আউশ ধান আবাদ করতে পারবেন। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ধীরে ধীরে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ বাড়ছে। প্রথম দিকে যমুনার চরাঞ্চলে এ ফুল চাষ হলেও পর্যায়ক্রমে কয়েক উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল হয়। ফুলের খেতে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে সংগ্রহ করা যায় মধু। সূর্যমুখীর শুকিয়ে যাওয়া গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৯০-১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষকরা ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে প্রায় সাত মণ বীজ পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর