কুমিল্লার লাকসাম পৌরশহরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শহরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে ওষুধ ছিটানো শুরু হলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এতে মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন পৌরবাসী। স্থানীয় নাগরিকরা জানান, সম্প্রতি মশার উৎপাতে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। বাসাবাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ সর্বত্র মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই। মশার কয়েল, স্প্রে সবকিছুই মশার কাছে হার মানছে। পৌরসভায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নকর্মী থাকলেও কতিপয় নাগরিক ও ব্যবসায়ী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ময়লা আবর্জন ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। এতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। শীত মৌসুমে মশার উপদ্রব কিছুটা কম থাকলেও গ্রীষ্মকালের শুরুতেই ব্যাপকহারে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাসাবাড়িতে মশা প্রবেশ করে জনজীবন অতীষ্ঠ করে তুলছে। মশা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ নালা-নর্দমাগুলোতে মশক নিধন স্প্রে ছিটানো কার্যক্রম শুরু করলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে ইলেকট্রিক ব্যাট, অ্যারোসল, কয়েল জ্বালিয়েও মশার অত্যাচার থেকে নগরবাসী রক্ষা পাচ্ছে না। পৌর শহরের ক্লিনিক ব্যবসায়ী ডা. নাজমুল আহসান রিয়াজ জানান, মশার অত্যাচারে মানুষ অতীষ্ঠ। ঘরোয়াভাবে মশা নিধন করা যাচ্ছে না। এতে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি রয়েছে। দক্ষিণ লাকসামের বাসিন্দা রিংকু সাহা জানান, মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় দুপুরের পর থেকে বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।