রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

দুই ফসলি জমিতে গম চাষে সাফল্য

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

দুই ফসলি জমিতে গম চাষে সাফল্য

দুই ফসলি জমিতে গম চাষে সাফল্য এনেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষক সাদিকুর রহমান মিজান। আমন ও আউশ ধান চাষের পর একই জমিতে গম আবাদে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন তিনি। স্বল্প সময়ে নামমাত্র শ্রম ও অপেক্ষাকৃত কম খরচে। এ প্রকল্প থেকে কয়েকগুণ আয়ের আশা রয়েছে তার। সরেজমিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুরান সিরাজপুর গ্রামে দেখা যায়, বসত বাড়ির কাছেই দুই ফসলি জমিতে দুলছে পুষ্ট সবুজ গমের গাছ। পাশাপাশি জমিতে চাষ করেছেন বাঁধাকপি, টমেটো, শিম, ব্রকলি, সূর্যমুখী ও মিষ্টি কুমড়া।  তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ওই জমিতে আগে বছরে দুইবার কেবল আউশ ও আমন ধান চাষ করতেন তিনি। এরপর ৪-৫ মাস অনাবাদি থাকতো জমি। গেল ক’বছর ধরে কোনো সৌসুুমেই আর অনাবাদি রাখেন না।

এবার ধানের পর গম আবাদে স্বাভাবিকভাবেই ফলন হয়েছে ভালো। গেল পৌষ মাসে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ২ বিঘা জমিতে বারি-২৮ জাতের ২৫ কেজি গমের বীজ বপন করেন তিনি। অল্প পরিশ্রমে চার মাসের মাথায় ফলন আসে গমের। আগামী চৈত্র মাসে খেত থেকে তোলা হবে গম। এ পর্যন্ত চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। হিসাব অনুযায়ী এ খেত থেকে বিঘা প্রতি ১৫ মণ করে ৩০ মণ গম পাওয়ার আশা আছে তার। ১৫-১৮০০ টাকা মণ দরে যার বাজার মূল্য ৪৫-৫৪ হাজার টাকা। এতে খরচ বাদে চার মাসেই আয় হবে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। সাদিকুর রহমান বলেন, এইচএসসি শেষ করে ব্যবসাবাণিজ্য, চাকরিও করেছি। পরে গেল পাঁচ বছর ধরে কৃষিকাজেই সুফল পাচ্ছি। পরিশ্রম আর সঠিক নিয়মে কাজ করলে যে কেউ কৃষিতে সাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গমের জমিতে সার কম প্রয়োগ করতে হয়। স্বল্প সেচেও করা যায় চাষ। তাছাড়া বাজারে দাম বেশি থাকায়, গম বর্তমানে কৃষকের কাছে হয়ে উঠছে জনপ্রিয় ফসল। এ বছর প্রণোদনার আওতায় উপজেলার কৃষকদের গমের বীজ, প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার ও সাইনবোর্ড সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর