রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

খানাখন্দে চলার অযোগ্য সড়ক

ক্ষতি হচ্ছে যানবাহনের, সময় লাগছে দ্বিগুণ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

খানাখন্দে চলার অযোগ্য সড়ক

বগুড়ার চেলোপাড়া থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলায় চলাচলের সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। পিচ, পাথর উঠে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে এ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহনের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি এ রাস্তায় চলাচল করতে দ্বিগুণ সময় লাগছে। সদরসহ চার উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন। জানা যায়, বগুড়া শহরের চেলোপাড়া থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে আগে ৩০ মিনিট সময় লাগলেও এখন এক ঘণ্টার বেশি লাগছে। জেলা শহরের সঙ্গে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী উপজেলার মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। এই চার উপজেলার মানুষ ওই সড়কে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন বগুড়া শহর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ পাঁচ সহস্রাধিক যান চলাচল করে এ রাস্তায়। সড়ক বিভাগ-বগুড়ার কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্পের আওতায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এ রাস্তা নির্মাণে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি রাস্তা নির্মাণসহ বর্ধিতকরণে দরপত্র আহ্বান শেষে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের নভেম্বরে রাস্তার উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত শুধু সাহবাজপুরে ব্রিজসহ গাইডওয়াল নির্মাণ শুরু হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় মূল রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। যদিও ২০২২ সালের জুন মাসে রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অটোরিকশা চালক আবদুল করিম জানান, এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে। সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যাচ্ছে না। রাস্তার বেশির ভাগ অংশ খানাখন্দে ভরা। অতিদ্রুত সংস্কার করা দরকার। বগুড়া শহরের চেলোপাড়া থেকে সারিকান্দিগামী যাত্রী আবুল ফজল জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে আছে।

সড়কটি দিয়ে মাত্র ২৫-৩০ মিনিটে চেলোপাড়া থেকে সারিয়াকান্দি যাতায়াত করা যেত। এখন অধিকাংশ স্থান ভাঙাচোরা থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বগুড়ার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়কের সংস্কার কাজের জন্য আপাতত ১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ বরাদ্দ দিয়ে কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। আগামী বছর এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। তাছাড়া বন্যার আগে কিছু কিছু স্থানে সংস্কার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর