রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

হেলিপ্যাডের সরকারি জমিতে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজের সামনে ১৯৮৮ সালের বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নিতে হেলিপ্যাড তৈরি করেছিলেন তৎকালীন এরশাদ সরকার। কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও অবহেলার কারণে হেলিপ্যাডটি দখল করেছে প্রভাবশালী মহল। বর্তমানে উপজেলা স্টেডিয়াম করার জন্য সাইনবোর্ড টানানো হলেও সেখানে গড়ে উঠেছে ট্রাকস্ট্যান্ড। সেই সঙ্গে স্থানীয় একটি অসাধু চক্র প্রকাশ্যে  হেলিপ্যাডের মাটি কেটে নিচ্ছে। তবুও যেন সরকারি এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটি দেখার কেউ নেই। পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনি বিশ্বাস, শহীদুল ইসলাম, শাইনুল শেখ ও মইনুল ইসলামসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। অথচ গুরুদাসপুরের হেলিপ্যাডের জমির কোনো উন্নয়ন হয়নি। জায়গাটি রক্ষার্থে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা হ্যালিপ্যাডটিতে স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত স্থান হিসেবে সাইনবোর্ড বসালেও জায়গাটি এখন ট্রাকস্ট্যান্ড ও ট্রাক শ্রমিকদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

এমনকি হেলিপ্যাডের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় লোকজন। নিয়ন্ত্রণহীন এই হেলিপ্যাডে এখন নিয়মিত মাদক সেবনের আড্ডাও চলে। এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছি বললেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে সময়ক্ষেপণ হতে থাকলে হয়তো হেলিপ্যাডের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই জায়গাটি দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল। এ ব্যাপারে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শেখ সবুজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হেলিপ্যাডের এই দুর্দশা দেখে আসছি। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জায়গাটি প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সেখানে একটি শিশু পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হেলিপ্যাডের সরকারি জায়গাটির ব্যাপারে এসিল্যান্ডকে প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দিয়েছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, হেলিপ্যাডের মাটি কাটা আগে বন্ধ করব। তারপর ট্রাকস্ট্যান্ডের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর