শিরোনাম
রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

খামারের বর্জ্য অপসারণে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র

আবদুল বারী, নীলফামারী

খামারের বর্জ্য অপসারণে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র

ডেইরি খামারের বর্জ্য অপসারণে বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দালালপাড়া গ্রামের ভেটেনারি সার্জন ডা. আজমল হুদা তপন। বর্তমানে তিনি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ দফতরে কর্মরত আছেন। তপন তার আবিষ্কৃত যন্ত্রের নাম দিয়েছেন ‘অটোমেটিক ফার্ম ক্লিনিং স্ক্রাপার’। এ বৈদ্যুতিক স্ক্রাপারের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খামারের বর্জ্য পরিষ্কার হবে ও ড্রেনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে তা জমা করবে। আবিষ্কারক বলেন, এ যন্ত্রটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করলে আরও কম দামে খামারিদের কাছে সরবরাহ করা সম্ভব।

এ জন্য প্রয়োজন সরকারি সহায়তা। সারা দেশের ডেইরি খামার যান্ত্রিকীকরণে এটি ভূমিকা রাখবে। প্রাথমিকভাবে যন্ত্রটি প্রস্তুত করতে ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন।

দেশীয় এ যন্ত্রের উদ্ভাবক ডা. আজমল হুদা তপন বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারের বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতাম। তিনি জানান, বাংলাদেশে ডেইরি খামারের বর্জ্য অপসারণের আধুনিক কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, এটি নিয়ে কাজ শুরু করি। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পর চিন্তার বাস্তবায়ন শুরু। দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রচেষ্টায় সফল হই এ যন্ত্র তৈরি করতে। বর্তমানে এ যন্ত্র আমার ডেইরি খামারে সফলভাবে কাজ করছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ডা. আজমল হুদা তপনের ডেইরি খামারে অটোমেটিক ফার্ম ক্লিনিং স্ক্রাপার যন্ত্র দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এতে খামারের গরুর কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। তপন বলেন, ‘যন্ত্রটি খুব স্বাভাবিকভাবেই খামারে কাজ করছে। খামারিকে প্রাথমিক কিছু প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই সহজেই এ যন্ত্রের কার্যাবলি বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত যেসব খামারে ১০-১২টি গরু আছে, সেখানে এ যন্ত্র হতে পারে খামার যান্ত্রিকীকরণের প্রাথমিক পদক্ষেপ। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী থাকবে।’ উদ্ভাবক তপন বলেন, ‘সেখানে ১০-১২টি গরু আছে এমন খামারে ১০ বছরে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা শুধু বর্জ্য অপসারণে শ্রমিকের মজুরি বাবদ প্রয়োজন হয় সেখানে এ যন্ত্র ব্যবহারে লাগবে মাত্র দেড় লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর