নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাথে বসার দাবিতে আন্দোলনরত হকারদের একটি অংশ শহরে সড়ক অবরোধ করেছে। এ সময় পুলিশের বাধা ও এক হকার নেতাকে আটকের গুজবকে কেন্দ্র করে শহরের রাস্তায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে হকাররা। এতে পুলিশ কয়েক দফা বাধা দিলেও হকাররা কয়েকটি স্থানে গিয়ে আলাদাভাবে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। গতকাল সন্ধ্যায় চাষাঢ়া বালুরমাঠ, প্রেস ক্লাবের সামনে ও সুগন্ধা রেস্টুরেন্টের সামনে পৃথকভাবে এসব ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ফুটপাথে বসার দাবিতে কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছে হকারদের একটি অংশ। গতকাল বিকালে তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হকারদের একটি অংশ আবারও ফুটপাথে বসার চেষ্টা করে। ওই সময়ে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে সরিয়ে দেয় ও লাঠিচার্জও করে। তখন হকার নেতা আসাদুজ্জামান আসাদকে আটক করা হয়েছে খবর ছড়িয়ে পড়লে হকাররা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এর জের ধরে হকাররা মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশ সেখান থেকে হকারদের সরিয়ে দিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তখন সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামানের নেতৃত্বে পুলিশ অ্যাকশনে যাওয়ার চেষ্টা করলে হকারদের আরেকটি গ্রুপ সুগন্ধা রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে সড়কে হকারদের ব্যবহৃত কাগজে আগুন ধরিয়ে দেয়। হকাররা জানায়, কোনো রকম পুনর্বাসন ছাড়াই তাদের ফুটপাথ থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এতে অভাবে পড়েছে হকার সংশ্লিষ্ট প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ। এর সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামান বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। হকাররা ফুটপাথ দখল করার চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
