বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

খানাখন্দে ভরা সড়ক

অজয় দাস, ভাঙ্গা

খানাখন্দে ভরা সড়ক

খানাখন্দে ভরা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ব্যস্ততম এ সড়কের বর্তমান অবস্থা বেহাল। পাকা এ সড়কের ২ কিলোমিটারে অন্তত ১৫টি স্থানে বড় বড় গর্ত আছে। ফলে ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়েছেন সড়ক দিয়ে  চলাচলকারী কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। এ সড়কটির নগরকান্দা উপজেলার রামনগরে অবস্থিত। সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-বরিশাল মহসড়কের নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের মানিকনগর থেকে রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর, কুঞ্জনগর, রামনগর গ্রামের মাঝদিয়ে ৬ কিলোমিটারের সড়কটি মিলেছে ফরিদপুরের টেপাখোলা-সদরপুর সড়কে। এর মধ্যে রামনগর গ্রামের ২ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা চলাচলের অনুপযোগী। এলাকাবাসী জানান, গত এক বছরের অধিককাল ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। তারা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান। রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ও রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য খালেক শরীফ জানান, এই সড়কটি এ এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়েই ফরিদপুরের দুটি বড় ব্যবসা কেন্দ্র কৃষ্ণপুর ও গজারিয়া হাটের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য আনা নেওয়া করে থাকে। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি যানবাহন চালকদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ও অটোচালক আরিফ মিয়া বলেন, এ সড়কে অটো চালাতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। কেননা এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিশালকায় গর্ত আছে। এসব গর্তের কাছে যেতেই মনে হয় যেন অটোটি উল্টে যাবে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ চলাফেরা করে থাকেন।  ট্রাকচালক সবুর শেখ জানান, পাটসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে চলাচল করতে এ সড়কে খুব ভোগান্তি হয়। মাঝে মধ্যে দুই-একটি ট্রাক গর্তে পড়ে ফেসে যায়।  ভ্যানচালক ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাজ্জাক বলেন, আমরা এ সড়কেই ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন সড়কের যে অবস্থা হয়েছে তাতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে কথা হয় পথচারী প্রদীপ ভৌমিকের সঙ্গে। তিনি জানান, সড়কটি চলাচলের অযোগ্য। ফলে এ পথে চলতে ভয় হয়। নগরকান্দা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, সড়কের ২ কিলোমিটারে বেশকিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। বর্তমান অর্থ বছরে অর্থ সংকুলান না হওয়ায় সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। আগামী অর্থ বছরে এ সড়কটি সংস্কার করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর