বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বাঁধ

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বাঁধ

অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কুড়িগ্রামের উলিপুরের তিস্তা নদীর বাঁধ। এ নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে বাঁধ নিয়ে শঙ্কায় এলাকাবাসী। আর এ নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন প্রভাবশালী। এই নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ওই চেয়ারম্যান তার নির্মাণাধীন বিশাল বাড়ি ও পুকুর ভরাট করছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীরা জানান, এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে চরম হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীর রক্ষার কাজে ব্যবহৃত পানি উন্নয়ন বোর্ডের লাখ লাখ টাকার সংস্কার কাজ। পাউবো’র এ কাজে জিও ব্যাগ রয়েছে হুমকিতে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার ঘর-বাড়ি। গত বর্ষা মৌসুমে উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কর্পুরা এলাকায় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এতে ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ে বসতঘর ও স্থাপনা। পরে পাউবো কর্তৃপক্ষ নদীর ভাঙন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ২৫০ মিটার এলাকায় প্রায় ১০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। ফলে তখন সেখানকার মানুষ ভাঙন প্রতিরোধে রক্ষা পেলেও আবার নতুন করে ভাঙন আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের স্থান থেকে একটু দূরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে অবাধে বালু তুলছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন। জানা যায়, তিস্তা নদীর বালুচর থেকে অবাধে বালু তুলছেন তারা। সকাল থেকে শুরু করে দিনভর তুলছেন সেখানকার বালু। আর এসব বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য। এছাড়াও সেই বালু দিয়ে তার বাড়ির পুকুর ভরাটের কাজও করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই জানান, একটি প্রভাবশালীমহল তিস্তা নদী থেকে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। এ ব্যাপারে দলদলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান মুন্সি বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, এখন থেকে বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করা হবে। কুড়িগ্রাম পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর