নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী (১৯)। গত শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রতারক প্রেমিক তারেক হাসান পলাতক রয়েছেন। তারেক হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিয়ের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে প্রেমিক তারেক হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেন অনার্স প্রথমবর্ষের ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু প্রেমিক তারেক পলাতক থাকায় তার স্বজনরা ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ওই শিক্ষার্থী দুই দিন ধরে অনশনে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, এক বছর আগে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের (মুক্তবাজার) কাচু মালের ছেলে তারেক হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাত্রীর বাসার পাশে তারেকের মাছ চাষের পুকুর থাকায় প্রায়ই দুজন নিভৃতে দেখা করত। বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার তারেকের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়। গত শুক্রবার বিয়ের আশ্বাসে বাসায় আসার কথা বলে তাকে ফেলে রেখে কৌশলে তারেক পালিয়ে যায়। গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শারমিন জাহান বলেন, মেয়েটিকে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। গুরুদাসপুর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
