রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

খনির সন্ধানে প্রস্তুতি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে লোহার খনি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু এখনো কেউ বলছেন না, সেখানে আদৌ কোনো খনি আছে কি না। তবে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) সম্ভাব্য খনির অবস্থান চিহ্নিত করে কূপ খননের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে কূপ খনন কাজ উদ্বোধনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলার চিরিরবন্দরে উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় নতুন এই সম্ভাব্য খনির অবস্থান চিহ্নিত করেছে জিএসবি। স্থানীয়  কেবারউদ্দিন মোল্লার ২৪ শতাংশ জমিতে খনন কাজের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেবারউদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, তাকে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের জমি চুকানী (চুক্তি) অনুযায়ী বাজার মূল্যে টাকা প্রদান করা হয়েছে। দফতরের অনুসন্ধানী দল এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজেও নেমেছেন।

প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কাজ চালাবেন। তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরের সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশা রয়েছে। তবে খনন শেষ না হলে, কিসের খনি আছে, কি নাই তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান তারা। এরই মধ্যে খনন কাজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হয়েছে কেশবপুরে। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সাইনবোর্ডও লাগানো হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর-(জিএসবি)‘র মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করবেন। এর আগে তারা কিছুই বলতে চান না। জানা গেছে, কূপ খনন কাজে দলপ্রধান হিসেবে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন আরও এক ডজন কর্মকর্তা। পুনট্টি ইউপির চেয়ারম্যান মো. নুর-এ-কামাল জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের পরিচালক মো. আব্দুুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসককে দেওয়া একটি চিঠির অনুলিপি  পেয়েছেন তিনি। চিঠিতে কেশবপুর এলাকায় জিডিএইচ-৭৬/২১ কূপ খনন কার্যক্রমে বহিরাঙ্গনে অবস্থানকালে কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত, পথ প্রদর্শন প্রদানে সহযোগিতার অনুরোধ করা হয়েছে। এই চিঠি পুলিশ সুপার, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চিরিরবন্দর থানাকে দেওয়া হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর