সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

হরতালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

হরতালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট

হেফাজতে ইসলামের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতালে চিরচেনা রূপ হারিয়েছে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। গতকাল এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ছিল না যাত্রীবাহী বাস কিংবা পণ্যবাহী পরিবহনের সারি। সরেজমিনে ঘাট এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে যাত্রীবাহী বাস কিংবা পণ্যবাহী পরিবহনের কোনো গাড়ি সিরিয়ালে নেই। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো কোনরকম ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে উঠতে পারছে। তবে হরতালে এবারে ঘাট এলাকায় ভিন্নতা ছিল অন্যরকম। পরিবহনের অন্য অনেক সময় অপেক্ষা করে ফেরিগুলো দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

তবে যে কয়েকটি বাস ঢাকামুখী ছিল সেগুলোতে যাত্রীর সংখ্যার ছিল অর্ধেকের কম। তবে দৌলতদিয়া নৌবন্দর এলাকায় হরতালের সমর্থনে কোনো বিক্ষোভ মিছিল করেনি হেফাজতে ইসলাম কিংবা কোনো সংগঠন। ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা এক বাস চালক বলেন, অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বাস চালাচ্ছি। রাস্তায় সেখানে নিরাপত্তা দেখিনি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের প্রতিদিনের যে ভোগান্তি সেটা চোখে পড়েনি। ফরিদপুর থেকে সোজা ৫ নাম্বার ফেরিঘাটে চলে আসলাম। তবে পরিবহনের যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেক। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন,  ভোর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০টি যাত্রীবাহী পার করেছি। পণ্যবাহী পরিবহনের চাপ সেভাবে ছিল না। তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। পরিবহন না থাকার পরেও কেন এতগুলো ফেরি চলাচল করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ প্রান্তে কিছু গাড়ি আটকা রয়েছে। সেগুলো পারাপারের জন্য ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়েবী বলেন, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হচ্ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। এ রুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে নিরাপত্তার জন্য আমিসহ আমার ফোর্স কাজ করছে। রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, কোন মৌলবাদী সংগঠন যেন জেলায় কোন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটসহ জেলায় নেতাকর্মীরা সজাগ রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর