সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

আলু নিয়ে বিপাকে কৃষক-ব্যবসায়ী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

আলু নিয়ে বিপাকে কৃষক-ব্যবসায়ী

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন হিমাগারে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এ বছর আলুর বাম্পার ফলনে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও আলু সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। হিমাগারের মালিকরা জানান, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে আলুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় এবার সমস্যা হচ্ছে। সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, হিমাগারগুলোর প্রধান ফটক বন্ধ। হিমাগারের আশেপাশে রাস্তায় ও মাঠে শত শত বস্তা আলু নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। জমির উদ্দিন নামে এক ঠেলাগাড়ি চালক জানান, ৩০ বস্তা আলু নিয়ে আসছি। গেট বন্ধ থাকায় সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও কোল্ড স্টোরে ঢুকাতে পারছিনা। একই অবস্থা রামরতন এলাকার হকটি হিমাগারের সামনে অপেক্ষারত রাজারহাটের ঘড়িয়াল ডাঙার কৃষক রিয়াজুল ইসলামের।

তিনি জানান, ৭০ বস্তা আলু নিয়ে দুই দিন ধরে অপেক্ষা করলেও হিমাগার মালিক সাড়া দিচ্ছেন না। হক হিমাগারের কর্মচারী নুর ইসলাম জানান, আমাদের হিমাগারে এক লাখ ৭০ হাজার বস্তা ধারণ ক্ষমতা। ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে আর আলু নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাবর কোল্ড স্টোরেজ ও সেকেন্দার কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষও একই তথ্য জানান। তারা বলেন, আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখনও অনেক আলু জমি থেকে কৃষকরা তুলেননি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, কুড়িগ্রামের চারটি হিমাগারে ছয় লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু ধারন ক্ষমতা রয়েছে। এর বাইরে রাখার সুগোগ নেই। এদিকে আলুর দাম বাজারে কম হওয়ায় চিন্তিত কৃষক। রাজারহাট উপজেলার দেবালয় গ্রামের কৃষক আজম আউয়াল জানান, প্রতি কেজি আলুর দাম ৬-৭ টাকায় নেমে গেছে। তাও ক্রেতা মিলছেনা। হিমাগারেও জায়গা  নেই। তাহলে আমরা এত আলু নিয়ে কী করব। লোকসান গুনতে হবে এবার। আলু রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠান এগ্রি কনসার্ণ’র ডিজিএম সাহানুজ্জামান জানান, বর্তমানে আমরা দেশের আলু শ্রীলংকা ও সিঙ্গাপুরে সীমিত পরিমাণে রফতানি করছি।

সর্বশেষ খবর